E-Paper

পাশ আন্তঃবাহিনী সংগঠন বিলও

সেনাবাহিনীতে সংস্কারের লক্ষ্যে নেওয়া ওই আইনের আওতায় আগামী দিনে স্থল, বায়ু ও নৌসেনা-তিন শাখাই আসতে চলেছে। এত দিন তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা আইন ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫৪
representational image

—প্রতীকী ছবি।

কার্যত কোনও আলোচনা ছাড়াই লোকসভায় পাশ হয়ে গেল আন্তঃবাহিনী সংগঠন (নির্দেশ, নিয়ন্ত্রণ ও অনুশাসন) বিলটি। আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়ে যাওয়া দেশের স্বার্থের পরিপন্থী বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

গত মার্চ মাসে বিলটি লোকসভায় পেশ হয়েছিল। সে সময়ে বিলটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়। গত মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। আজ লোকসভায় বিলের পক্ষে বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা এক হওয়ার প্রশ্নে এই বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় সেনা ঐক্যবদ্ধ ভাবে নিজেদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া ওই বিল পাশ হলে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও শৃঙ্খলা জোরদার হবে।’’

সেনাবাহিনীতে সংস্কারের লক্ষ্যে নেওয়া ওই আইনের আওতায় আগামী দিনে স্থল, বায়ু ও নৌসেনা-তিন শাখাই আসতে চলেছে। এত দিন তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা আইন ছিল। ফলে কোনও একটি শাখার অফিসার কেবল নিজের শাখায় অধঃস্তনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারতেন। অন্য শাখার কোনও সেনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সরাসরি অধিকার ছিল না তাঁর। রাজনাথ বলেন, ‘‘এ ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা এড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ ও অনুশাসনের বিষয়টি সরল করতেই এই বিলটি আনা হচ্ছে।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই বিল পাশ হলে আগামী দিনে ইন্টার-সার্ভিস অর্গানাইজ়েশন গঠন করতে সক্ষম হবে সরকার।

গত ক’দিন ধরেই শাসক শিবিরের বক্তাদের মুখের সামনে পোস্টার তুলে ধরে তাঁদের বলতে বাধা দিচ্ছিলেন বিরোধীরা। আজ তাই স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে একেবারে পিছনের সারিতে চলে যান রাজনাথ। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখেন তিনি। রাজনাথ বিলটি নিয়ে প্রাথমিক বক্তব্য রাখার পরে আলোচনায় কেবল যোগ দেন বিজেপি ও বিএসপির সাংসদ যথাক্রমে রাজ্যবর্ধন রাঠৌর ও রীতেশ পাণ্ডে। দেশের প্রতিরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত ওই বিলটির এ ভাবে বিনা আলোচনায় পাশ হয়ে যাওয়া আদৌ কতটা বাঞ্ছনীয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির কথায়, ‘‘অনাস্থা আনার পরেও যে ভাবে বিল পাশ হয়ে যাচ্ছে, তাতে এই সরকারের কাছে এটাই কাম্য।’’ অনাস্থা প্রস্তাব স্পিকারের টেবিলে পড়ে থাকা অবস্থায় যে বিলগুলি পাশ হয়েছে সেগুলির সাংবিধানিক বৈধতা আগামী দিনে আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Monsoon Session of Parliament Rajnath Singh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy