Advertisement
E-Paper

Rahul Gandhi: চিন: রাহুলের কটাক্ষ, রাতে জবাব দিল্লির

সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই কোথায় মাটি খুঁড়ে কী মিলেছে, সেটা হিন্দুদের না মুসলমানদের, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২২ ০৬:৫৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চিন লাদাখে আরও বড় মাপের সেতু তৈরি করছে বলে খবর মিলছে। অথচ নরেন্দ্র মোদী সরকারের গতকালের বক্তব্য ছিল, চিনের অধিকৃত এলাকাতেই সেতু তৈরি হচ্ছে। সরকারের এই ‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে’ অবস্থান নিয়ে আজ সকালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল। বিতর্কে জল ঢালতে রাতে চিনের সমালোচনা করেছে সাউথ ব্লক।

কংগ্রেসের অভিযোগ, চিন যে ভারতের জমি দখল করে বসে রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে মোদী সরকার বলতে পারছে না। সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই কোথায় মাটি খুঁড়ে কী মিলেছে, সেটা হিন্দুদের না মুসলমানদের, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। তার পর রাতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর বক্তব্য, “প্যাগং লেকের ধারে আগের তৈরি হওয়া সেতুটির পাশে নতুন সেতু তৈরির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এই দু’টি সেতুই ১৯৬০ থেকে চিনের বেআইনিভাবে দখল করে রাখা ভূখণ্ডে। আমরা কখনও এই বেআইনি দখলদারি মেনে নিইনি, বেআইনি চিনা নির্মাণের বিরুদ্ধেও সরব থেকেছি। বহু বার স্পষ্ট করে দিয়েছি যে জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আশা করি, অন্য দেশগুলি আমাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে মর্যাদা দেবে।” পাশাপাশি বাগচী জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ করতে সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণ ২০১৪ সাল থেকে বাড়ানো হয়েছে।

লাদাখে প্যাংগং লেকের উপরে চিন সেতু তৈরি করছে বলে আগেই জানা গিয়েছিল। এ বার চিন আরও বড় মাপের দ্বিতীয় সেতু তৈরি করছে বলে খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাহুল আজ সকালে সরব হন। বাগচী বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘সম্ভবত যে এলাকার কথা বলা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে তা কয়েক দশক ধরে চিনের অধিকৃত এলাকা। তবে সেটা দ্বিতীয় সেতু বা প্রথম সেতুর সম্প্রসারণ, তা জানা নেই। আমি এই রকম ঘটনায় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখি।’’

রাহুল বলেন, “চিন প্যাংগং লেকে প্রথম সেতু তৈরি করার সময়েও কেন্দ্র বলেছিল, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। চিন দ্বিতীয় সেতু তৈরির সময়ও একই কথা বলছে তারা।” তাঁর বক্তব্য, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনও দর কষাকষি চলে না। ভীতু, নিরীহ প্রতিক্রিয়ায় কাজ হবে না। প্রধানমন্ত্রীকেই দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।

গত দু’বছর ধরেই প্যাংগং লেকে ভারত ও চিনের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে বিবাদ চলছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেনা ট্যাঙ্কার ও সাঁজোয়া গাড়ি পারাপারের জন্যই নতুন সেতু তৈরি করছে চিনের সেনা। ভারতীয় সেনার তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা ও পরিকাঠামো সাজিয়ে ফেলাই চিনের লক্ষ্য। আজ কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘‘কূটনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল শব্দচয়ন। সেখানে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলছেন, মনে হচ্ছে ওটা চিনের অধিকৃত এলাকা। মনে হচ্ছে না, এলাকাটা চিন দখল করে রেখেছে। চিনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী চাপে রয়েছেন মনে হয়। আগে উনি বলেছিলেন, কেউ অনুপ্রবেশই করেনি। চিনকে ‘ক্লিন-চিট’ দিয়েছিলেন। এখন বিদেশ মন্ত্রক গোটা বিষয়কে লঘু করছে।’’

Rahul Gandhi Central Government China
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy