ফাইল চিত্র।
অত্যন্ত সাবধানী প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক শিবির। সুপ্রিম কোর্টের চার সিনিয়র বিচারপতি বেনজির পথে হেঁটে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, প্রধান বিচারপতির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলেন। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হল, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গাঁধী সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন বটে। কিন্তু সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি তুলেই প্রসঙ্গ শেষ করে দিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাতিদীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে বললেন, ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক।
কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী পি পি চৌধুরী শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই জটিলতায় সরকার কোনও ভাবেই নাক গলাবে না। সরকার চাইছে বিচার বিভাগই এই জটিলতার নিরসন ঘটাক, বুঝিয়ে দেন তিনি। অ্যাডভোকেট জেনারেল কে কে বেণুগোপালের গলায় অবশ্য চার বিচারপতির সাংবাদিক সম্মেলনের মৃদু বিরোধিতা শোনা গিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন এড়ানো যেত বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।
সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি বলেন, ‘‘যে নাগরিকরা ন্যায় বিচারের ধারণাকে ভালবাসেন এবং সুপ্রিম কোর্টের উপর বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই এই ইস্যুটার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বিষয়টার নিরসন হওয়া জরুরি।’’ চার বিচারপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে যে প্রশ্নগুলি তুলেছেন, সেগুলি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে রাহুল গাঁধী মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনজির: সুপ্রিম কোর্টে কার্যত বিদ্রোহ চার বিচারপতির
আরও পড়ুন: ‘এক শ্রেণির রাজনীতিক এই গোলমালের সুযোগ নেবেন, বিপদ হতে পারে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আজ যা ঘটেছে, তাতে আমরা গভীর ভাবে ব্যথিত। সুপ্রিম কোর্টের চার জন সিনিয়র সম্মানীয় বিচারপতির বিবৃতি থেকে আমরা যা জানতে পারছি, তাতে নাগরিক হিসেবে আমরা সত্যিই দুঃখিত।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘বিচার বিভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy