কেন্দ্রীয় সরকার ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে পারে। উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের আদর্শ আচরণবিধি উঠলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি থেকে। প্রায় ৫০ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৫৮ লক্ষ পেনশনভোগী এর ফলে লাভবান হবেন।
গত বছরের শুরুতে মোদী সরকার ৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা ১২৫ শতাংশে পৌঁছয়। এরপর সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে সেই মহার্ঘ ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ২০১৬-র ১ জুলাই থেকে ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আরও ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা যোগ হলে কেন্দ্রের মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশে পৌঁছবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী সংগঠনগুলি অবশ্য মনে করছে, মূল্যবৃদ্ধির হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখনই ৪ থেকে ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো দরকার ছিল। বৃদ্ধির এই হারে খুশি নয়। মূল্যবৃদ্ধি যেখানে পৌঁছেছে, তাতে ভাতা আরও বাড়া উচিত ছিল বলে কর্মী সংগঠনগুলির দাবি। কনফেডারেশন অব সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি কে কে এন কুট্টির বক্তব্য, ‘‘২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়তে চলেছে। ২০১৭-র ১ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে এই বৃদ্ধির হারের কোনও সামঞ্জস্য নেই।’’
খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারের ১২ মাসের গড় হিসেবের উপর ভিত্তি করেই মহার্ঘ ভাতা বাড়ায় সরকার। শ্রম ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রকের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ঠিক হয়। কুট্টির দাবি, শ্রম ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রক সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। খুচরো পণ্যের গড় মূল্যবৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে ৪.৯৫ শতাংশ। কিন্তু আসলে এই হার আরও বেশি বলে তাঁর দাবি। সরকার মূল্যবৃদ্ধির হারের যে হিসেব দিচ্ছে, তা মানলেও মহার্ঘ ভাতা অন্তত ৪.৯৫ শতাংশ বাড়ানো জরুরি ছিল।