পশ্চিম এশিয়ার অস্থির ভূকৌশলগত পরিস্থিতির মধ্যেও যাতে টেকসই দামে ভারতবাসীর হাতে জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি লোকসভায় জমা দেওয়া একটি বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে বহুমুখী কৌশল নিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে তেল আমদানির উৎস আরও বাড়ানো, তেল ও গ্যাসের ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি, বিকল্প শক্তির উৎসকে চিহ্নিত করে কাজে লাগানো ইত্যাদি।”
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক জরিমানা চাপিয়েছেন ভারতের উপরে। পাশাপাশি, অনিশ্চয়তা বহাল রয়েছে পশ্চিম এশিয়াতেও। ভারতের অশোধিত তেলের বড় অংশ আসে পশ্চিম এশিয়া থেকেই।
ইজ়রায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাতের পর থেকেই তেলের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। এর পরে আমেরিকার সরাসরি হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে ভারতের বহু জাহাজ চলাচল করে। এই অঞ্চল যদি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়, তা হলে নৌপথে নিরাপত্তা ব্যয় ও বিমা খরচ বহু গুণ বাড়তে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা হল, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলিতে ভারতীয় শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং রফতানির নির্ভরতা রয়েছে। পরিস্থিতি অস্থির হলে সেই প্রভাব পড়বে শ্রম বাজার ও বাণিজ্যিক আদানপ্রদানে।
সংসদে জমা দেওয়া বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তেলের বাজারের বহুবিধ বৈশিষ্ট্যের উপর। তার মধ্যে তেলের দাম এবং জোগানও রয়েছে। ভারতের জাতীয় স্বার্থ এবং সুবিধাজনক শর্তের উপরেও তা নির্ভরশীল। ভারত সংশ্লিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাদের স্বার্থ জড়িত, কোনও সঙ্কট এলে তাদের সতর্ক করার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হচ্ছে।’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)