E-Paper

নিকোবরে সাড়ে চার লক্ষ বৃক্ষ নিধন, ‘ক্ষতিপূরণ’ হরিয়ানায়

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত গ্রেট নিকোবর দ্বীপ উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি বন্দর, শহর, সেনা ও নাগরিক ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মোদী সরকার আগেই আন্দামান-নিকোবরের গ্রেট নিকোবর দ্বীপে ৭২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। এ বার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ উন্নয়ন নিগম এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ কাটার বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল। এই প্রকল্পে গ্রেট নিকোবর দ্বীপের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ গাছ কাটা পড়বে বলে অনুমান।

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অভিযোগ তুলেছেন, পরিবেশ ও মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর দুর্যোগ আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত গ্রেট নিকোবর দ্বীপ উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি বন্দর, শহর, সেনা ও নাগরিক ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হবে। আদানি গোষ্ঠীর মতো একাধিক সংস্থা এর বরাত পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে। দ্বীপের যে ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হবে, তার মধ্যে ১৩০ বর্গকিলোমিটারই অরণ্য অঞ্চল। শম্পেন ও নিকোবরি মূলবাসীদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিরা এই দ্বীপে বাস করেন।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক দাবি করেছে, পরিবেশের ‘ন্যূনতম ক্ষতি’ হবে, এটা নিশ্চিত করেই এই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হবে। কিন্তু গ্রেট নিকোবর দ্বীপে জঙ্গল কাটার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোদী সরকার যে ভাবে হরিয়ানায় ২৪ হাজার হেক্টর বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত অরণ্যের তকমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতেও প্রশ্ন উঠেছে। অসরকারি সংস্থা ‘সেন্টার ফর ফিনানশিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি’-র অভিযোগ, দ্বীপের আদিবাসীদের আপত্তি সত্ত্বেও জঙ্গল কাটা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে হরিয়ানার বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত অরণ্য ঘোষণা স্রেফ রসিকতা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Andaman & Nicobar Islands Haryana

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy