Advertisement
E-Paper

কৃষিতে গতি আনতে গুচ্ছ প্রকল্প

সেচের প্রসার, চাষিদের টাকার জোগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেকর্ড কৃষি ঋণ দান এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ বাড়ানো।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫৯

সেচের প্রসার, চাষিদের টাকার জোগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেকর্ড কৃষি ঋণ দান এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ বাড়ানো। গ্রামাঞ্চলে অর্থনীতির পালে হাওয়া আনতে এবং ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করতে এই তিন পদ্ধতির উপরেই জোর দেওয়ার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এ জন্য বুধবার বাজেটে আগামী অর্থবর্ষে কৃষি ক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫১,০২৬ কোটি টাকা। যা চলতি বছরের তুলনায় ৬% বেশি। আর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র মিলিয়ে এই অঙ্ক ৫৮,৬৬৩ কোটি।

অনাবৃষ্টি বা কম বৃষ্টিতেও যাতে চাষের কাজে ক্ষতি না-হয়, সে জন্য সেচ ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার কথা বহু বারই জানিয়েছেন জেটলি। এই লক্ষ্যে এ বারের বাজেটে ক্ষুদ্র সেচের প্রসারের জন্য নাবার্ডের আওতায় ৫,০০০ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আর দীর্ঘ মেয়াদি সেচ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি। একই সঙ্গে অতিবৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের যাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না-হয়, সে জন্য জোর দেওয়া হয়েছে ফসল বিমা যোজনাতেও। লক্ষ্য হল ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে এই বিমার আওতায় দেশের ৪০% কৃষি জমিকে নিয়ে আসা। তার পরের বছরে ৫০%। এই খাতে এ বার ধরা হয়েছে ৯,০০০ কোটি।

এর সঙ্গেই কৃষকদের হাতে আরও বেশি অর্থের জোগান দিতে আগামী অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সরকার। এর মধ্যে পূর্ব-ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা করা কৃষিঋণে ৬০ দিনের সুদ ছাড়ের প্রকল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে দাবি জেটলির। চাষিদের ঋণ দিতে সারা দেশে ৬৩,০০০টি কৃষি ঋণ সমবায় তৈরির লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে। যাদের জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ জন্য তিন বছরে ১,৯০০ কোটি খরচ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্যগুলির সঙ্গে এই খরচ ভাগ করে নেওয়া হবে।

এ ছাড়াও, ঘোষণায় রয়েছে—

• কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আওতায় ছোট গবেষণাগার তৈরি। মাটি পরীক্ষার জন্য দেশের ৬৪৮টি কেন্দ্রকে উপযুক্ত করে তোলা। আরও ১,০০০টি গবেষণাগার তৈরির জন্য উদ্যোগপতিদের ঋণে ছাড় দেওয়া।

• জাতীয় কৃষি বিপণন কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫৮৫-তে নিয়ে যাওয়া। এ জন্য কেন্দ্র পিছু ৭৫ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে।

• চুক্তি-চাষের মডেল আইন তৈরি।

• দুগ্ধজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিকাঠামো তৈরির জন্য নাবার্ডের আওতায় ২০০০ কোটি টাকার তহবিল। যা আগামী ৩ বছরে বাড়ানো হবে ৮,০০০ কোটি পর্যন্ত।

• সেচের জন্য ইউপিএ জমানায় চালু হওয়া মহাত্মা গাঁধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের (এমজিএনআরইজিএ) আওতায় আগামী বছরে ৫ লক্ষ পুকুর কাটা।

Agriculture Union Budget
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy