বিদেশে লুকিয়ে রয়েছে, এমন অপরাধীদের সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারব্যবস্থার সামনে দাঁড় করাতে হবে বলে আজ বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘যারা ভারতের বাইরে লুকিয়ে রয়েছে, এমন অপরাধীদের ধরার প্রশ্নে নির্মম হতে হবে। কোনও রেওয়াত করা যাবে না।’’ সব রাজ্যকেই এ ধরনের পলাতকদের জন্য একটি বিশেষ শাখা খোলার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। একটি সামগ্রিক তথ্যভান্ডার তৈরি করতে নির্দেশও দিয়েছেন সিবিআই, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোকে।
বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, সরকার-ঘনিষ্ঠ অপরাধীদের (ললিত মোদী, বিজয় মাল্য) কেন এত দিনেও ফেরানো সম্ভব হল না, আগে সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত সরকারের।
বহু অপরাধী এ দেশে অপরাধ করে অন্য দেশে পালিয়ে গিয়ে বসবাস করছে। বা সেখানে থেকেই ভারত বিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার, সংস্থার সঙ্গে নিয়ম মেনে আলোচনা চালিয়ে তাদের প্রত্যর্পণে গুরুত্ব দিয়েছেন শাহ। সিবিআই আয়োজিত ‘পলাতকদের প্রত্যর্পণ-সমস্যা ও কৌশল’-সংক্রান্ত আলোচনায় শাহ আজ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই সিবিআই আন্তর্জাতিক অভিযান কেন্দ্র খুলে বিশ্বের বাকি অংশের পুলিশের সঙ্গে ‘রিয়েল টাইম’-এ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। গত জানুয়ারি মাসে সিবিআই ইন্টারপোলের ধাঁচে ভারতপোল পোর্টাল খোলার পরে এ ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করার প্রশ্নে ১৯০টি নোটিস জারি করেছে।’’
সব রাজ্যেই এ ধরনের পলাতকদের জন্য বিশেষ শাখা খোলার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণের লক্ষ্যে সব রাজ্যের উচিত এমন শাখা খোলা। কারণ, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এ ধরনের শাখার অনুপস্থিতিতে বিদেশের আদালতে সমস্যা তৈরি হয়।’’
এ ধরনের পলাতকদের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থা ছাড়াও সব রাজ্যের পুলিশদের কাছে যাতে সমস্ত তথ্য থাকে, তার জন্য সর্বজনীন তথ্যভান্ডার তৈরির জন্য সিবিআই, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোকে নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘ওই তথ্যভাণ্ডারে কোনও পলাতকের বিরুদ্ধে কী ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, সে কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, ভারতে সেই অপরাধীদের নেটওয়ার্ক কী ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, ওই পলাতকের প্রত্যর্পণ ঠিক কী কারণে আটকে রয়েছে—এ ধরনের সব তথ্য যেন ওই তথ্যভান্ডারে থাকে।’’ পাশাপাশি কোনও পলাতকেরবিরুদ্ধে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার যাতে চালু হয়ে যায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন শাহ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)