একটি, দু’টি করে হলেও শুরু হয়েছে অস্ত্র ফেলে ঘরে ফেরার পালা। অস্ত্রের পরিবর্তে কাশ্মীরের যুবকেরা বেছে নিচ্ছেন আত্মসমর্পণের রাস্তা। পরিস্থিতি কিছুটা ইতিবাচক হওয়ায় কাশ্মীরি যুবকদের পাশে পেতে একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিতে চাইছে কেন্দ্র।
পুনর্বাসন নীতির পরে এ বার কাশ্মীরি যুবকদের আরও বেশি করে সরকারি কাজের সুযোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। একই সঙ্গে যারা প্রথম বার পাথর ছোড়ার মতো কাজ করেছে তাদের মাফ করে দিতে মেহবুবা মুফতি সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরামর্শ দেওয়ার মূল কারিগর হলেন জম্মু-কাশ্মীরে মধ্যস্থতাকারী দীনেশ্বর শর্মা। শর্মার বক্তব্য, ‘‘উপত্যকা ছাড়াও দেশের অন্য প্রান্তে পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক নরম মনোভাব নিয়ে দেখা হয়ে থাকে। উপত্যকার যুবকদেরও সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।’’
চলতি বছরে থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের মধ্যে প্রথম বার পাথর ছোড়ার ঘটনায় নাম উঠে এসেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার তরুণ ও কিশোরের। যাদের একটি বড় অংশ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া। তাই ওই সব পড়ুয়াদের আরও এক বার সুযোগ দেওয়ার জন্য শর্মার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পাঠানো ওই প্রস্তাব রূপায়িত করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে মেহবুবা প্রশাসন। উপত্যকায় নরম মনোভাব নিলে যে ইতিবাচক ফল হতে পারে এই বিষয়টি বোঝার পরেই আশু দু’টি সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। প্রথমত, জঙ্গিরা যাতে ঘরে ফেরে সে জন্য গত সপ্তাহেই নতুন করে পুনর্বাসন প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মেহবুবা প্রশাসন। তারপরেই অস্ত্র ছেড়ে ঘরে ফেরে দুই জঙ্গি। পুলওয়ামার বাসিন্দা আদিল বিলাল বাট নামে তৃতীয় এক জঙ্গিকে ফিরতে অনুরোধ করেছেন তাঁর মা হাসিনা আখতার।
দ্বিতীয়ত, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ছাড়াও ওই এলাকায় মোতায়েন বাহিনীগুলিতে স্থানীয় যুবকদের আরও ভর্তি করতে চায় কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে শীতকাল কেটে গেলেই নিয়োগে নামবে সেনা ও আধাসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy