কিছু দিন আগে এনআরএস হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিগৃহীত হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। গুরুতর আহত হয় তিনি। প্রতিবাদে ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন দেশের চিকিৎসকেরা।
দেশে বাড়তে থাকা চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা রুখতে এ বার বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ওই খসড়া বিল প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, চিকিৎসক নিগ্রহের সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর জেল, সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। বিলের খসড়া প্রকাশ করে দেশবাসীর মতামত চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মতামত জানাতে হবে চলতি মাসের মধ্যেই।
কিছু দিন আগে এনআরএস হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিগৃহীত হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। গুরুতর আহত হয় তিনি। প্রতিবাদে ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন দেশের চিকিৎসকেরা। গত সপ্তাহে অসমের চা বাগানে মৃত রোগীর পরিজনেদের হাতে নিগৃহীত হয়ে মৃত্যু হয় প্রবীণ চিকিৎসক দেবেন দত্তের। এই ধরনের হামলার ঘটনা রুখতে এ বার ‘হেল্থকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এসটাব্লিশমেন্ট (প্রোহিবিশন অব ভায়োলেন্স অ্যান্ড ড্যামেজ টু প্রপার্টি) বিল, ২০১৯ আনতে চলেছে কেন্দ্র।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই বিল চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল পড়ুয়া, অ্যাম্বুল্যান্স চালক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা রুখতে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুরের ঘটনায় রাশ টানবে। আজ প্রকাশিত খসড়া বিলে উল্লেখ, কোনও ব্যক্তি যদি কর্মরত চিকিৎসককে মারধর করেন বা মারধরে মদত দেন, তা হলে তাঁর ছ’মাস থেকে পাঁচ বছর জেল হবে। সঙ্গে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। কোনও হামলায় কর্মরত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী যদি গুরুতর আহত হন, তা হলে দোষী ব্যক্তিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস করতে হতে পারে। সে সঙ্গে দুই থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে দোষীকে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধে দোষীর সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হয়ে থাকে।
দোষী ব্যক্তির সাজা এখানেই শেষ নয়। খসড়া বিলে বলা হয়েছে, জেল-জরিমানা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দোষীকে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়া সম্পদের বাজার দরের দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে। আহত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। আঘাত গুরুতর হলে দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। অনাদায়ে দোষীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সংস্থান রাখা হয়েছে খসড়া বিলে। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলা জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy