কাবেরী নদীর জলবণ্টন বিবাদ সামাল দিতে না পেরে শেষে সুপ্রিম কোর্টেরই দ্বারস্থ হল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কাবেরী নদীর জল কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্যে কী ভাবে ভাগাভাগি হবে, ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টই তা ঠিক করে দিয়েছিল। আর সেই রায় নিয়ে দুই রাজ্যের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মোদী সরকার কাবেরী বোর্ড তৈরি করছে না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ঠুকেছে তামিলনাড়ু। অন্য দিকে কর্নাটক কাবেরী বোর্ড গঠনের বিরুদ্ধে।
বিবাদ মেটাতে গিয়ে বিপাকে মোদী সরকার। কারণ একদিকে সামনেই কর্নাটকের ভোট। সেখানে কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া বিজেপি। তামিলনাড়ুতে আবার সব দলই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানিস্বামী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন। তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এডিএমকে-র সাংসদরা নিয়মিত সংসদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের কেউ পদত্যাগের, কেউ আবার আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে-ও বসে নেই। দলের নেতা এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, ১১ এপ্রিল মোদী তামিলনাড়ু সফরে গেলে তাঁরা কালো পতাকা দেখাবেন। দুই রাজ্যের নেতাদেরই দাবি, তাঁরা রাজ্যের মানুষের পানীয় ও চাষের প্রয়োজনে জলের জন্য লড়ছেন।
এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে কেন্দ্র। সোমবার এ বিষয়ে জরুরি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর কাছে আবেদন জানানো হবে। কেন্দ্রের যুক্তি, তামিলনাড়ু যখন কাবেরী বোর্ড গঠনের দাবি করছে, তখন কর্নাটক বলছে, শীর্ষ আদালত বোর্ড গঠনের কথা বলেনি। শুধু একটি ব্যবস্থা তৈরির কথা বলেছে। বোর্ড গঠন হলে কাবেরীর জল সংক্রান্ত তথ্য রাখার ক্ষমতা কর্নাটকের হাত থেকে চলে যাবে। কেন্দ্রের দাবি, আদালতই স্পষ্ট করে দিক, বোর্ড গঠন হলে জলবণ্টন এবং তার উপরে নজরদারি ছাড়া অন্য কোনও কাজ থাকবে কি না।
একান্তই বোর্ড তৈরি করতে হলে তার জন্য আরও তিন মাস সময়ও চেয়েছে কেন্দ্র।