আফস্পা নিয়ে কৌশলে অরুণাচলের কোর্টেই বল ঠেলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে অরুণাচলের ১২টি জেলায় আফস্পা বলবত্ করায় প্রতিবাদ জানান অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে তিনি সরকারের আপত্তিও জানান। গত কাল বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে অরুণাচলের স্বরাষ্ট্র দফতরের অফিসারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের একটি বৈঠক হয়।
টুকি রাজনাথকে বলেন, অরুণাচল উত্তর-পূর্বের সব চেয়ে শান্ত রাজ্য। অসম-মায়ানমার সীমান্তে থাকায় রাজ্যের তিন জেলা এতদিন আফস্পার আওতায় ছিল। টুকির মতে আরও ৯টি জেলায় আফস্পা লাগু করার প্রয়োজন ছিল না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অরুণাচলের সাংসদ কিরেণ রিজিজু রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, রাজ্য সরকার যদি নিজের শক্তি দিয়ে রাজ্যে থাকা আলফা, এনডিএফবি, মাওবাদী, এনএসসিএন জঙ্গিদের দমন করতে পারে ও ভারত থেকে মায়ানমারে জঙ্গি গতিবিধি ঠেকাতে পারে তবে কেন্দ্র কেবল আফস্পা প্রত্যাহারই করবে না, রাজ্যে মোতায়েন করা অতিরিক্ত বাহিনীও প্রত্যাহার করবে। কেন্দ্রের যুক্তি, জঙ্গিরা কেবল অসম সীমানার তিনটি জেলায় সীমাবদ্ধ না থেকে আফস্পার হাত এড়াতে অন্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। জঙ্গিদের গতিবিধি জেনেও যৌথবাহিনী হামলা চালাতে পারছে না। কেন্দ্রের মতে, রাজ্য পুলিশ দিয়ে জঙ্গিদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। উত্তর-পূর্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই জঙ্গি দমনের জন্য আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ও দ্রুত হামলা করতে সক্ষম কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া জরুরি। রাজ্যের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করা বা মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলা কেন্দ্রের উদ্দেশ্য নয়। কেন্দ্রের লক্ষ্য, কঠোর হাতে জঙ্গিদের দমন করা। জঙ্গি গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও কেন্দ্র আশ্বাস দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy