রেলের কোনও কর্মী ৩০ বছর ধরে চাকরি করছেন অথবা তাঁর ৫৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে— এমন কর্মীদের চাকরিতে টিকে থাকার আর নিশ্চয়তা রইল না। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত, এঁদের চাকরিতে রাখা হবে, নাকি আগাম অবসর দেওয়া হবে, তা খতিয়ে দেখে জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত হবে। এ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে রেল।
কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, রেলে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ কর্মী কাজ করেন। নির্দেশ কার্যকর হলে ৩ লক্ষ কর্মী কাজ হারাবেন। কেন্দ্রের বক্তব্য, সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকেই একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলিতে প্রযোজ্য হবে। যার ফলে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী কাজ হারাবেন।
৯ জুলাই রেল বোর্ড সব জ়োনের জিএম, রেলের সংস্থাগুলির প্রধানদের চিঠিতে নির্দেশ পাঠিয়েছে, অফিসার, কর্মীদের পর্যালোচনা শুরু করতে হবে। জ়োনাল ম্যানেজাররা নিচুতলায় নির্দেশ দিতে শুরু করেছেন। নির্দেশ— সমস্ত কর্মী, অফিসারদের ঠিকুজিকুষ্ঠি তৈরি করতে হবে। কে কত দিন কাজ করছেন, কত বেতন, সময়মতো কাজে আসেন কি না, খরচ বাঁচিয়ে কাজ করেন কি না, নিজে সিদ্ধান্ত নেন কি না, অধীনস্থ কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন কি না, পাঁচ বছরে অসুস্থতার জন্য কত দিন ছুটি নিয়েছেন, সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কি না— এই সব তথ্য চাওয়া হচ্ছে।