জলপথে হামলার ছকও করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তারা। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছেন, ভারত আক্রমণ করলে যোগ্য জবাব দেবে ইসলামাবাদ। কাশ্মীরে সেনা কর্তারাও পাল্টা হুমকি দেন, বন্দুক ধরলেই বুলেটে জবাব দেবে বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার উপকূলীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া সেই বৈঠকে, উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে ফের হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মন্ত্রকের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ব্রজরাজ শর্মা। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতকেই বেশি সচেতন থাকার কথা বলেছে। উপস্থিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তারাও বৈঠকে ওই দুই রাজ্যকে জানান, জলপথে হামলার ছকও করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। কাশ্মীরে আগামী দিনে যা পরিস্থিতি তৈরি হবে তাতে গুজরাত ও মহারাষ্ট্র উপকূলেও বড় হামলা হতে পারে। উত্তর সীমান্তের জবাব পশ্চিম উপকূলে দিতে আইএসআইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া তামিলনাড়ুকেও সতর্ক করা হয়েছে।
ভিডিয়ো-বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন এডিজি (উপকূল নিরাপত্তা) হরমনপ্রীত সিংহ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তারা। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল নিয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, মূলত উপকূল নিরাপত্তার পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজের পর্যালোচনায় পুলওয়ামা হামলার আগেই ডাকা হয়েছিল বৈঠকটি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সচিব বৈঠকে বারবার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেন।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র সরকার দিল্লিকে জানায় নেপাল থেকে মৎস্যজীবীরা মুম্বই উপকূলে চলে আসছেন। সেখানে নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন। উপকূলে বসবাস করছেন। এমন ৩০১৪ জন নেপালি মৎস্যজীবীকে মহারাষ্ট্র সরকার চিহ্নিত করেছে। তাদের নিয়ে কী করণীয় তা জানতে চায় মুম্বই প্রশাসন। কর্নাটকের উপকূলেও নেপালি মৎস্যজীবীরা ভিড় করছে। কেন্দ্র অন্য রাজ্যকেও এ নিয়ে তথ্যপঞ্জি তৈরির নির্দেশ দেয়। বাংলায় এমন কোনও মৎস্যজীবী নেই বলে নবান্নের কর্তারা এ দিনই দিল্লিকে জানান। তবে উপকূলীয় থানাগুলির নিরাপত্তা, টহলদারি জেটি নির্মাণ, মৎস্যজীবীদের বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র ও ট্রলার-নৌকায় জিপিএস বসিয়ে পঞ্জিকরণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy