Advertisement
২২ মে ২০২৪

কংগ্রেসের সভায় উত্তেজনা

নির্বাচন মিটলেও হাইলাকান্দি কংগ্রেসে সংঘাত অব্যাহত। আজ ধুন্ধুমার ঘটল জেলা কংগ্রেস ভবনে। ভোট পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য সভা ডেকেছিলেন দলের সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত। সভার প্রথমেই শুরু হয় চিৎকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৬ ০৩:১৪
Share: Save:

নির্বাচন মিটলেও হাইলাকান্দি কংগ্রেসে সংঘাত অব্যাহত।

আজ ধুন্ধুমার ঘটল জেলা কংগ্রেস ভবনে। ভোট পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য সভা ডেকেছিলেন দলের সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত। সভার প্রথমেই শুরু হয় চিৎকার। কয়েক জন কংগ্রেস নেতা দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন। তা নিয়েই সভায় উত্তাপ বাড়তে থাকে। প্রাক্তন বিধায়ক এবং আলগাপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল রায় সরাসরি জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর এবং মুখপাত্র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে তাঁদের বহিষ্কারের দাবি তোলেন। অনেক কংগ্রেস কর্মী ওই সিদ্ধান্ত এ দিনই গ্রহণ করতে জেলা কংগ্রেস সভাপতির উপর চাপ দিতে থাকেন।

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বরাক উপত্যকায় কংগ্রেস মাত্র দু’টি আসন জিতবে বলে মন্তব্য করার বিষয় নিয়েও সভায় বিতর্ক ছড়ায়। সামসুদ্দিনদের দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি উঠতে থাকে।

অভিযুক্ত জেলা কংগ্রেস সম্পাদক কিছু বলতে চাইলেও হট্টগোলের মধ্যে তিনি সেই সুযোগ পাননি। যুব কংগ্রেস নেতা নজরুল ইসলাম মিরা বলেন, ‘‘হাইলাকান্দি কংগ্রেসে অনুশাসন বলে কিছু নেই।’’ তিনি জেলা কংগ্রেস সভাপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘হাইলাকান্দি কংগ্রেস ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগোচ্ছে।’’ কংগ্রেসের অন্যান্য কয়েক জন নেতাও তাঁদের বক্তব্যে জেলা কংগ্রেস সভাপতির ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। অশোকবাবু বলেন, ‘‘ব্যর্থ হলে আমি পদত্যাগ করতে রাজি।’’ সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ দিনের সভা শেষ হয়। অভিযুক্ত কংগ্রেস সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর এ নিয়ে বলেন, ‘‘রাহুল রায়ের কোনও ক্ষমতা নেই আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করার।’’ এ দিনের সভায় তাঁকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। প্রাক্তন বিধায়ক রাহুলবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা দিনে কংগ্রেস, রাতে বিজেপি ইউডিএফ করেন, তাদের সরিয়ে হাইলাকান্দি কংগ্রেসের শুদ্ধিকরণ করা হবে।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি পরে বলেন, ‘‘জেলা কংগ্রেসের কয়েক জন পদাধিকারীকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তা বিবেচনা করা হচ্ছে।’’

সন্ধেয় জানানো হয়, দলবিরোধী কাজের জন্য যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নজরুল হুসেন বড়ভুঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অশোকবাবু জানিয়েছেন, ২৯ এপ্রিল করিমগঞ্জ লোকসভা ভিত্তিক যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হুসেনের সভাপতিত্বে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Chaos
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE