নগর পরিষদ ভোট করতে হবে নির্ধারিত দিনেই— আজ গৌহাটি হাইকোর্টের এই নির্দেশে অশান্ত হল নাগাল্যান্ড। পথে নামলেন উপজাতি সংগঠনের নেতা-সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোল বিক্ষোভকারীরা। সূচি অনুযায়ী, ১২টি পরিষদে ভোট হওয়ার কথা ১ ফেব্রুয়ারি। রাজ্য নির্বাচন দফতরকে কাল ভোট না করানোর আর্জি জানিয়েছে।
উপজাতি সংগঠনগুলির চাপে নতি স্বীকার করে নাগাল্যান্ড সরকার। পিছোনো হয় নগর পরিষদের ভোট। তাই বন্ধও প্রত্যাহার করে হো হো-দের যৌথ মঞ্চ। মহিলাদের আসন সংরক্ষণের প্রতিবাদে নগর পরিষদের ভোট বয়কট করে নাগাল্যান্ডের উপজাতি হো হো-রা। কিন্তু সরকার অনড় ছিল। হো হো-দের চাপে ১০টি নগর পরিষদে কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। বন্ধ ডাকে হো হো-দের যৌথ মঞ্চ। কাল নাগাল্যান্ড ব্যাপ্টিস্ট চার্চ কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় যৌথমঞ্চের সঙ্গে বৈঠক হয়। সরকার সংরক্ষণের বিষয়টি বোঝানোর পর, মঞ্চ জানায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ ভারত সরকারের চাপানো বলে মত অনেকের। সংরক্ষণ নিয়ে সব উপজাতি সংগঠন, গ্রাম প্রধানদের বোঝাতে ও সকলের মত নিতে দু’মাস যেন ভোট স্থগিত রাখা হয়। মুখ্যমন্ত্রীও ভোট দু’মাস পিছোতে রাজি হন।