প্রতীকী ছবি।
বিরোধী দলনেতার একটি মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে কর্নাটকে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সেখানে শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল এক কনস্টেবলকে চড় মারার। বুধবার রায়চুর পশ্চিম থানার কাছে গোলমালটি ঘটে। অভিযুক্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আহুজা পাপারেড্ডি পরে দাবি করেন, সাদা পোশাকে থাকায় ওই পুলিশকর্মীকে চিনতে পারেননি। ক্ষমা চাইতেও অস্বীকার করেন।
গত ২৬ অক্টোবর সিন্দগীতে একটি জনসভায় যোগ দেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া। তাঁর কিছু মন্তব্যে দলিতদের অবমাননার অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও সিদ্ধারামাইয়া দাবি করে আসছেন, মন্তব্যের অপব্যখ্যা করা হচ্ছে। বিজেপির তফসিলি মোর্চা বুধবার কর্নাটক জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। রায়চুর পশ্চিম থানার সামনে মোতায়েন ছিলেন রাঘবেন্দ্র নামে ওই পুলিশ কনস্টেবল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পাপারেড্ডি সাদা পোশাকে থাকা ওই পুলিশকর্মীকে ধমকাচ্ছেন। চড় মারছেন। জানা গিয়েছে, সিদ্ধারামাইয়ার প্রতিকৃতি পোড়ানোয় বাধ সাধা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বরিষ্ঠ এক পুলিশকর্মী গিয়ে সামাল দেন।
পরে সাংবাদিকদের কাছে পাপারেড্ডি দাবি করেন, সাদা পোশাকে থাকায় রাঘবেন্দ্রর পরিচয় বুঝতে পারেননি। ভেবেছিলেন, বিজেপির কোনও কর্মী। দাবি করেন, তাঁর হাত থেকে রাঘবেন্দ্র প্রতিকৃতি ছিনিয়ে নিয়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়াতেই মেজাজ হারান। কেন এমনটা করলেন জানতে চেয়ে ‘ঠেলা’ দিয়ে ধমকান। পাপারেড্ডির দাবি, এই ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তাঁর মতে, উর্দিতে না থাকার জন্য ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ হওয়ার কথা।
ওই বিজেপি নেতার দাবি, প্রতিকৃতি পোড়ানোর ধারা গত পাঁচ দশক ধরে চলে আসছে। বাধা দেওয়ার পিছনে রাঘবেন্দ্রর অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। একটি সংবাদমাধ্যমকে রায়চুরের পুলিশ সুপার নিখিল বি জানিয়েছেন, বিস্তারিত খোঁজ নিতে ওই কনস্টেবলের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলাও রুজু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy