৬২ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ। মঙ্গলবার, রায়পুরে। ছবি- পিটিআই।
না, আর যুদ্ধ নয় পুলিশ, প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলায় পুলিশের সামনে মাটিতে অস্ত্রশস্ত্র নামিয়ে রাখলেন ৬২ জন মাওবাদী। আত্মসমর্পণ করে জানিয়ে দিলেন, আর গেরিলা যুদ্ধ নয়, তাঁরা এ বার সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে চান। তাঁদের ৫১টি দেশি অস্ত্র আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।
ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের ৬ দিন আগে, মঙ্গলবার নারায়ণপুর জেলায় ৬২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করলেন বস্তার পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিবেকানন্দ সিংহ ও নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র শুক্লর সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা সিপিআই (মাওবাদী)-র কুটুল আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ছিলেন। এই নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড়ই ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের ‘বেস ক্যাম্প’ বলে পরিচিত।
৯০ আসনের ছত্তীসগঢ় বিধানসভার ভোট হবে দু’দফায়। ১২ এবং ২০ নভেম্বরে। প্রথম দফায় ভোট হবে ১৮টি এবং শেষ দফায় হবে বিধানসভার বাকি ৭২টি আসনে।
আরও পড়ুন- কার্বাইনের নল উঁচিয়ে অবুঝমাড় পরীক্ষা নিচ্ছে গণতন্ত্রের
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের মতো পরিবর্তনের মেঘ ছত্তীসগঢ়ের আকাশেও!
ভোটের আগে মাওবাদীদের এই আত্মসমর্পণে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে স্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই আত্মসমর্পণকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার আশা, ওঁদের দেখে অন্য মাওবাদীরাও আত্মসমর্পণে উৎসাহী হয়ে উঠবেন।’’ একই কথা বলেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহও। তাঁর টুইটে রমন লিখেছেন, ‘‘চাইব, অন্য মাওবাদীরাও হাতের অস্ত্র নামিয়ে রেখে রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হোন।’’
গত এক দশক ধরে মাওবাদী সন্ত্রাসে রক্তাক্ত ছত্তীসগঢ়ের বিভিন্ন এলাকা। চলতি বছরে তা আরও বেড়েছে। হালের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ৪৩ জন। গত ৩০ অক্টোবর দান্তেওয়ারা জেলায় মাওবাদী হামলার শিকার হন দূরদর্শনের এক সাংবাদিক ও তিন পুলিশকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy