মাওবাদী হিংসার শিকার সমস্ত পুলিশকর্মীর পরিবারের সদস্যেরা পুলিশ বা অন্য কোনও সরকারি দফতরে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিচালিত ছত্তীসগঢ় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইয়ের উপস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত সরকারি বিধি সংশোধনের বিষয়েও একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শহিদ পুলিশকর্মীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখে, মন্ত্রিসভা সহানুভূতি-নিয়োগের জন্য ‘ইউনিফাইড রিভাইজড ইন্সট্রাকশনস-২০১৩’-র ১৩(৩) ধারা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে মাওবাদী হিংসায় নিহত পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে, তাঁদের পরিবারের যে কোনও যোগ্য সদস্য (পুরুষ বা মহিলা) পুলিশবাহিনী ছাড়াও অন্য যে কোনও দফতরে, রাজ্যের যে কোনও জেলা বা বিভাগে, বিকল্পের ভিত্তিতে সহানুভূতি-নিয়োগ পাবেন।’’
এত দিন পর্যন্ত মাওবাদী হামলায় কোনও সরকারি কর্মী নিহত হলে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতেন। ‘দেশের সবচেয়ে মাওবাদী উপদ্রুত রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত ছত্তীসগঢ়ে এই পদক্ষেপ আগামী দিনে পুলিশকর্মীদের বাড়তি উৎসাহ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র অবুঝমাঢ় ডিভিশনের প্রশিক্ষণ টিমের কমান্ডার জীবন তুলসী এবং তাঁর স্ত্রী তথা মাওবাদীদের প্রচার বিভাগের সদস্যা আগাশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মাথার দাম ছিল আট লক্ষ টাকা।