কথাটা বলতে গিয়ে এক বার তাঁর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গিয়েছিল। আবেগে। তার পরেও কাজ হয়নি!
এ বার সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপই দাগলেন দেশের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন রাজ্যের আদালতগুলি, এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও বিচারপতিদের শূন্য পদগুলি পূরণের দাবিতে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সামনেই।
দিল্লিতে শনিবার এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর বলেন, ‘‘এখন রাজ্যে রাজ্যে শুধু হাইকোর্টগুলিতেই অন্তত ৫০০ বিচারপতির পদ খালি রয়েছে। ওই হাইকোর্টগুলিতে এখনই অন্তত আরও ৫০০ বিচারপতির কাজ করা উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, ট্রাইব্যুনালগুলিতেও পরিকাঠামোর অভাব যথেষ্টই। ফলে সেগুলিরও অনেকটাই খালি। এ ভাবে চললে এমন একটা অবস্থা আসবে, যখন সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কোনও ট্রাইব্যুনালের প্রধানের দায়িত্ব নিতে চাইবেন না। ওঁদের ওই দায়িত্ব দিতে গিয়ে আমিও ব্যথিত হয়ে পড়ি। বিচারপতিদের যা যা সুযোগসুবিধা দেওয়া উচিত, তা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহও দেখা যাচ্ছে না।’’
তবে ওই অনুষ্ঠানেই দেশের প্রধান বিচারপতির ক্ষোভকে কার্যত উড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এ বছরই ১২০ জন বিচারপতি নিয়োগ করেছে সরকার। যেখানে ১৯৯০ সাল থেকে মাত্র ৮০ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতগুলিতে শূন্য পদের সংখ্যাটা ছিল পাঁচ হাজার। এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিচারপতিদের নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি দেখভাল করে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম বিচারপতিদের নিয়ে গড়া বিশেষ একটি প্যানেল বা কলেজিয়াম। তাতে প্রধান বিচারপতিও আছেন। তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত পাঠিয়ে দেন সরকারের কাছে, অনুমোদনের জন্য। তার পর অনুমোদনের জন্য সরকার তা পাঠায় রাষ্ট্রপতির কাছে।’’
গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠাকুর। তাঁর চোখে জল এসে পড়েছিল।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের মধ্যে বইতে দিয়ে জল নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না, হুঙ্কার মোদীর