প্রতীকী ছবি।
অন্ধকার ঘর। তার মধ্যে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে দুই শিশু। দুই বোন। এক জনের বয়স ৮ এবং অন্য জনের বয়স ৩। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে শিশু দু’টিকে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। উত্তর দিল্লির সময়পুর বদলির ঘটনা। বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরনোয় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। খবর দেন পুলিশে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন এক ব্যক্তি। গত ১৫ অগস্ট থেকেই বাড়ি তালাবন্ধ। ভেবেছিলেন বাড়ির সকলেই হয়ত কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন। কিন্তু ১৯ অগস্ট দুই বোনকে যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ির একটি ঘর থেকে তা দেখে প্রতিবেশীরাও রীতিমতো অবাক।
ঘরে ঢুকে কী দেখেছিল পুলিশ?
এক পুলিশকর্মী জানান, বিছানার উপর অনাহারক্লিষ্ট দুই শিশুকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, শিশু দু’টির মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। শরীরে পোকা ধরে গিয়েছিল। ঘরের কোথাও হাওয়া বা আলো ঢোকার ব্যবস্থা পর্যন্ত ছিল না।
শিশুদের বাবা-মায়ের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পরে তাদের ঠাকুমার খোঁজ পেলেও নাতনিদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বাড়ি ছাড়ার আগে শিশু দু’টির উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল। যার জেরে মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এতটা নিষ্ঠুর কী ভাবে হতে পারলেন বাবা-মা। কী ভাবে নিজেদের সন্তানদের মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখে চলে যেতে পারলেন? তাঁরা জানান, মাস দু’য়েক আগেই শিশু দু’টির মা স্বামীর অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর ছেলেকে। এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যখন বাড়ি ছাড়লেন মহিলা কেন মেয়ে দু’টিকে নিয়ে গেলেন না। সবচেয়ে বড় কথা ওই মহিলা জানতেন তাঁর স্বামী মদ পান করতেন এবং বাড়িতে অত্যাচার চালাতেন। প্রশ্ন উঠেছে মা হিসাবে কী ভাবে পারলেন তাঁর অন্য দুই সন্তানকে এ ভাবে ফেলে রেখে যেতে!
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy