Advertisement
E-Paper

গোড়াতেই কিশোর ও শিশুদের টিকা নয় 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গোড়া  থেকেই বলে আসছেন, করোনাভাইরাসের শিকার হচ্ছেন মূলত মধ্যবয়স্ক ও বর্ষীয়ান ব্যক্তিরাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৭
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সরকার চাইছে আগামী মাস থেকেই গণ টিকাকরণ অভিযান শুরু করতে। প্রাথমিক লক্ষ্য ৩০ কোটি দেশবাসী। কিন্তু সেই ৩০ কোটির দলে শিশু বা কিশোররা নেই বলে আজ স্পষ্ট করে দিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, ১৮ বছরের নীচে কারও উপরে প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়নি। সে কারণে টিকাকরণের সময়েও ১৮ বছরের কম বয়সিদের টিকা দেওয়ার অনুমতি নেই। তা ছাড়া অল্প বয়সিদের এই মুহূর্তে টিকার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গোড়া থেকেই বলে আসছেন, করোনাভাইরাসের শিকার হচ্ছেন মূলত মধ্যবয়স্ক ও বর্ষীয়ান ব্যক্তিরাই। পরিসংখ্যানও বলছে, পঞ্চাশের উপর বয়স যাঁদের, তাঁদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার অনেক বেশি। তাই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রশ্নেও মূলত আঠারো বছরের উপরের ব্যক্তিদের বেছে নিচ্ছে গবেষণা সংস্থাগুলি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে কেউ সংক্রমিত হলে সেই পরিবারের শিশুরাও সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। তাই শিশু ও অল্প বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়ার প্রশ্নে সরকার কী ভাবছে?

এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিষেধক সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্তরে যে প্রোটোকল তৈরি হয়েছে, তাতে শিশু বা অল্প বয়সিদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই। কারণ, এই রোগ মূলত বয়স্কদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। সংক্রমিত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের দীর্ঘদিন ‘ক্রনিক’ রোগে ভোগার ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুহার বেশি। সেই কারণে অধিকাংশ টিকা সংস্থা আঠারো বছরের উপরের ব্যক্তিদের পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়। জরুরি ভিত্তিতে ছোটদের ওই টিকা দেওয়ার আবশ্যকতা দেখা যায়নি। তবে আগামী দিনে ধীরে ধীরে আঠারো বছরের নীচেও প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। বর্তমানে কেবল একটি সংস্থাই কমবয়সিদের উপরে ওই পরীক্ষা শুরু করছে।”

সরকার যে জানুয়ারি থেকেই টিকাকরণ শুরু করতে চাইছে, আজ তার ইঙ্গিত দিয়েছেন দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিইও বিদেশ জয়পুরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট তারিখ এখনও জানানো হয়নি। তবে সরকারের প্রস্তুতি দেখে ধরে নেওয়া যায়, আগামী মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষেধক বিতরণ শুরু হয়ে যাবে। মূলত দিল্লি, হায়দরাবাদের মতো বিমানবন্দরগুলিতে হিমঘর তৈরি করে প্রতিষেধক গোটা দেশে বিমানযোগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।

দিল্লি বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই সেই হিমঘর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদেশ জয়পুরিয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি প্রতিষেধক রাখার পরিকাঠামো বাড়াতে হয় তা হলে দু-তিন দিনের নোটিসে তা বাড়ানো সম্ভব হবে।”

Coronavirus covid-19 Vaccine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy