ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে ফের একযোগে সক্রিয় হয়েছে চিন ও পাকিস্তান। এক দিকে পঠানকোট হামলায় মূল অভিযুক্ত মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে দিল্লির আর্জি নিয়ে আপত্তি তুলেছে বেজিং। অন্য দিকে বালুচিস্তানে ধৃত ‘ভারতীয় চর’ কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে ইসলামাবাদ। দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক লড়াই নয়া মোড় নিয়েছে বলে মানছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা।
রাষ্ট্রপুঞ্জে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ দিল্লি। আজ চিনের নাম না করেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘জইশ নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তার প্রধান নেতা ও অর্থের জোগানদারকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে আপত্তি তোলা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।’’ চিনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় কাউকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করতে গেলে কিছু শর্ত পূরণের প্রয়োজন। মাসুদের ক্ষেত্রে সেই শর্ত পূরণ হয়নি। তাই চিন আপত্তি করেছে।
সাউথ ব্লকের কর্তাদের মতে, স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সন্ত্রাস দমনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চিন। আগেও তারা সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জিতে আপত্তি জানিয়েছে।
এর পাশাপাশি বালুচিস্তানে ধৃত ‘চর’ কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে দিল্লির উপরে পাল্টা চাপ দিতে চাইছে ইসলামাবাদ। সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, এতেও পাকিস্তানকে মদত দিচ্ছে চিন। ইরানের চাবাহার বন্দরে ভারতের উপস্থিতির সম্ভাবনা ওই দু’দেশের পক্ষেই অস্বস্তিকর। কুলভূষণ ইরান থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে বালুচিস্তানে ঢুকেছিলেন বলে দাবি পাকিস্তানের। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, সেই দাবিকে সামনে রেখে এখন ইরানকে চাপ দিচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। তাদের দাবি, চাবাহারেও ভারত চর পাঠাবে। তাই তাদের সেখানে কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।