ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং— ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ডিসএনগেজমেন্টের প্রতিধ্বনি এবার ভারত-চিন কূটনীতিতেও। শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সুস্থিতির বার্তা দিয়ে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডংয়ের মন্তব্য, ‘‘চিন ও ভারত পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী।’’
নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের তরফে ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিয়ো বার্তায় সুন এ দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখা প্রয়োজন। তাঁর মতে, ‘‘এক্ষেত্রে সঙ্ঘাত এড়িয়ে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমেই চিন এবং ভারতকে এগোতে হবে।’
চিনের রাষ্ট্রদূত এদিন সীমান্ত সমস্যার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টিকে পৃথক করারও সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, সীমান্তে বিরোধের ছায়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনের উপর পড়লে তার পরিণাম দু’দেশের পক্ষেই খারাপ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: পিছোতে গিয়ে নিজের জমিই ছাড়ছে সেনা?
সুন এদিন বলেন, ‘‘মেড ইন চায়না পণ্যে শুল্ক বহির্ভূত প্রতিবদ্ধকতা এবং বিধিনিষেধ আরোপ অনায্য। এ ক্ষেত্রে চিনা উৎপাদক এবং ভারতীয় উপভোক্তা, দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’’ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরে চিনের টেলিকম ও বিদ্যুৎ সরঞ্জাম আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্র। নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ। এই প্রেক্ষিতে সুনের এদিনের মন্তব্যেকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিকাশ দুবের এনকাউন্টার ঘিরে যে আটটি প্রশ্ন উঠছে
১৮ মিনিটের ওই ভিডিয়ো বার্তায় পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাস ফিরিয়ে আনারও ‘দিশানির্দেশ’ দিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। তাঁর কথায়, ‘‘পরস্পরকে সম্মান দেওয়া এবং মূল স্বার্থগুলির প্রতি নজর দিলেই ভারত-চিন সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy