পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের ঢোকার রাস্তায় শেষ মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পড়শি চিন। এটা দু’দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছে সম্প্রতি। এ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বেশ খানিকটা ঠান্ডা জল ঢেলেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানি ও চিনা সেনার যৌথ মহড়া এবং এ দেশে এসে তিব্বতিদের উস্কানি দেওয়ার জন্য তিন চিনা সাংবাদিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, চিন সাগর নিয়ে বিতর্কে বেজিং এখন পাশে চায় দিল্লিকে। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতে আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াঙ্গ ই। পৌঁছবেন ১২ তারিখ। সফর তিন দিনের।
এনএসজি নিয়ে ভারত যেমন চিনকে পাশে পেতে চাইছে, ঠিক তেমনই দক্ষিণ চিন সাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা এলাকায় আধিপত্যের প্রশ্নে ভারতের সমর্থন চায় বেজিং। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে ওয়াঙ্গের বৈঠকে অবশ্যই দক্ষিণ চিন সাগরের প্রসঙ্গটি উঠবে। কিছু দিন আগেই দক্ষিণ চিন সাগরের উপর চিনের একচ্ছত্র আধিপত্যের দাবি নাকচ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। তার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চাপে রয়েছে বেজিং। আগামী মাসে চিনেই বসতে চলেছে জি-২০-র শীর্ষ বৈঠক। এর পরে ভারতে ব্রিকস সম্মেলন হওয়ার কথা। এ দু’টির কোথাও যাতে কোনও দেশ দক্ষিণ চিন সাগরের প্রসঙ্গ না তোলে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে বেজিং। এর আগে আসিয়ানের বৈঠকেও এই একই জিনিস করতে সমর্থ হয়েছিল চিন।
এ বিষয়ে নয়াদিল্লি কী ভাবছে?
সরকারি ভাবে কিছুই বলছেন না সাউথ ব্লকের কর্তারা। সুষমা-ওয়াঙ্গ বৈঠকে এনএসজি থেকে শুরু করে চিনা সাংবাদিকদের বহিষ্কারের প্রসঙ্গ উঠবেই। দর কষাকষির রাস্তা খোলা রাখতে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ভারতের অবস্থান এখনই খোলসা করতে চাইছেন না কেউ।
বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র বলছে, এনএসজি নিয়ে এখন জল মাপতে চাইছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী সুষমা কয়েক দিন আগে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘কোনও দেশ আমাদের এখন বিরোধিতা করছে মানে এই নয় যে বরাবরই তারা ভারতের বিরোধিতা করে যাবে।’’ এনএসজি নিয়ে ভারত এখনও যে আশাবাদী, সুষমার এই বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর তাই এ বিষয়ে চিনের সমর্থন পেতে ভারত কত দূর এগোবে, সেই জল্পনা শুরু হয়েছে সাউথ ব্লকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy