Advertisement
E-Paper

ইমপিচমেন্ট নিয়ে আগ্রাসী জেটলি

কংগ্রেস কেবল দেশের বিচার ব্যবস্থাকে চাপে ফেলার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০৬
অরুণ জেটলি। -ফাইল চিত্র।

অরুণ জেটলি। -ফাইল চিত্র।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজ হওয়া নিয়ে কোর্টে গেলে কংগ্রেস ফের মারাত্মক ভুল করবে বলে মনে করেন অরুণ জেটলি। অর্থমন্ত্রী ও প্রবীণ আইনজীবী জেটলির মতে, এই প্রস্তাবে আদৌ যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছিল না। কংগ্রেস কেবল দেশের বিচার ব্যবস্থাকে চাপে ফেলার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছিল।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস-সহ সাতটি বিরোধী দল। সেই প্রস্তাব খারিজ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। উপরাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি পেশ করতে চায় কংগ্রেস।

আজ এক ফেসবুক পোস্টে জেটলি জানিয়েছেন, সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছে বহু বার। এখন বহু আইনজীবী সাংসদ হয়েছেন। তাঁরা আদালতের বিবাদকে সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করেন। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এমনই এক চেষ্টার নজির। জেটলির মতে, ওই প্রস্তাব পাশ করাতে গেলে সংসদের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেস জানত তা জোগা়ড় করা সম্ভব নয়। তারা কেবল দেশের বিচার ব্যবস্থাকে চাপে ফেলতেই এই প্রস্তাব এনেছিল।

জেটলির মতে, ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটির গোড়ায় গলদ ছিল। কারণ, ‘সন্দেহাতীত প্রমাণ’ ছাড়া এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে এগোনো যায় না। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। পাঁচটি ক্ষেত্রেই কেবল কিছু সংশয়ের কথা বলা হয়েছে।

জেটলির মতে, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলে মারাত্মক ভুল করবে কংগ্রেস। কারণ, সংসদে নানা প্রস্তাব আনা হয়। সেগুলি গ্রহণ করা বা না করা সংসদের দুই কক্ষের চেয়ারম্যান বা স্পিকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় না। এর মধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বেঙ্কাইয়া আজ জানান, তিনি এক মাস ধরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, শুক্রবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে উপরাষ্ট্রপতি কী ভাবে এক মাস ধরে আলোচনা করলেন।

arun jaitley impeachment অরুণ জেটলি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy