ঝুপড়ি উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু লাইন কেটে দেওয়ার এক মাস পার হলেও এখনও বিদ্যুৎ আসেনি দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে। ওই কলোনির লোকেরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলেই তাঁদের উপর বিজেপি-শাসিত দিল্লি পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা।
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতের নির্দেশ মেনে জুলাই মাসে ওই কলোনির বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিয়ে গিয়েছিল দিল্লির বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। ‘সংগ্রামী ঘরেলু কামগার ইউনিয়ন’-এর পক্ষ থেকে শ্রেয়া ঘোষ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান থেমেছে। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ আসেনি।” জুলাই-অগস্ট মাসের গরমে বিদ্যুতের অভাবে বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শ্রেয়া। তাঁর কথায়, “ছোটরা স্কুলের পড়াশোনা করতে পারছে না। চর্মরোগ, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গিতে ভুগছেন বাসিন্দাদের বড় অংশ।”
এলাকার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ মুসলিম। তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা গোড়া থেকেই শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। বাসিন্দারা এক দিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই যেমন হারাতে চলেছেন, তেমনই রুটি-রুজিতেও টান পড়ছে বলে অভিযোগ। এখানকার মহিলারা মূলত গৃহপরিচারিকার কাজ করে থাকেন। ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে তাঁদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনের এক মাস পূর্তিতে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর কথায়, “ওই কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল আগের সরকার। ফলে কোনও ধরনের উচ্ছেদের আগে ওই বাসিন্দাদের পুনর্বাসন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)