পুণেতে গিলেন-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস)-এর প্রভাবে এ বারে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মহারাষ্ট্রে এই প্রথম কেউ বিরল এই স্নায়ুরোগে মারা গেলেন বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৭৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার নতুন করে ন’জনের দেহে জিবিএস শনাক্ত হয়েছে। এই অবস্থায় মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ বেড়েছে সরকারের। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং পুণে পুরসভা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখছে।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি বেশ কয়েক দিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ওই ব্যক্তি পুণের ডিএসকে বিশ্ব এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি আদতে সোলাপুর জেলার বাসিন্দা। দিন কয়েক আগে সোলাপুরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তি জিবিএস-এ আক্রান্ত। পরে পুণের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
গিলেন-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস) একটি বিরল ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’। এই রোগে নিজের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। পুণে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গিলেন-বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তদের ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, জ্বর, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই কারও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুর কর্তপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দূষিত খাবার এবং জলের কারণে জিবিএস-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুরসভার তরফে ফোটানো জল ও রাস্তার ধারের আঢাকা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পুণের সিংহগড় ও লাগোয়া এলাকায় ৭৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানান, পুণের নাগরিক সংস্থার কমলা নেহরু হাসপাতালে জিবিএস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)