Advertisement
১১ মে ২০২৪
Narendra Modi

Drug Smuggling: গুজরাত কি ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’? বার বার বিপুল মাদক উদ্ধারে মোদী-শাহের রাজ্য নিয়ে প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কেজি কোকেন আটক করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ০৭:৩৫
Share: Save:

কখনও মুন্দ্রা। কখনও কান্ডলা। গুজরাতের বিভিন্ন বন্দর থেকে বারে বারেই বিপুল পরিমাণ ড্রাগ আটক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাত ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’ হয়ে উঠছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

বৃহস্পতিবার ফের গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কেজি কোকেন আটক করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী। ইরান থেকে নুন রফতানির নামে এই ড্রাগ পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত এই মুন্দ্রা বন্দর থেকেই তিন হাজার কেজি ড্রাগ আটক করা হয়। আজ কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, গুজরাত উপকূল থেকেই সমস্ত ড্রাগ ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছে কেন?

কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘‘কখনও পিপাভভ বন্দর, কখনও আবার গৌতম আদানি পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দর থেকে, সব ড্রাগ আটক হচ্ছে গুজরাতের উপকূল থেকে। গুজরাত কেন ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’ হয়ে উঠছে?’’ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খেরা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আর পণ্য আসবে না। অথচ গত কালই ইরান থেকে আসা পণ্যে ড্রাগ ধরা পড়েছে।’’

গত সেপ্টেম্বরে মুন্দ্রায় তিন হাজার কেজি ড্রাগ ধরা পড়ার পরে এনআইএ-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন, এনআইএ তদন্তে কী পেয়েছে? এই ড্রাগ চক্রের মাথা কারা? ভারতে ড্রাগ পাচার রুখতে কেন্দ্রের পরিকল্পনা কোথায়? কংগ্রেস মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘ড্রাগ চক্রের মোকাবিলার বদলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সিবিআই, ইডি সবাইকে খুচরো রাজনীতি করতে, বিরোধীদের হেনস্থা করতে মাঠে নামানো হয়েছে।’’সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Amit Shah Congress BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE