ভোটের মেরুকরণ করতে হরিয়ানার বিজেপি সরকার নুহ, মেওয়াত ও গুরুগ্রামে হিংসায় মদত দিয়েছে কি না, তার খোঁজে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করল কংগ্রেস।
নুহ-তে বজরং দলের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরে বিজেপি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিকেই আঙুল তুলেছে। অভিযোগ, পরিকল্পনা করে হিংসার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজ বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর রাজ্যসভায় এই ‘পরিকল্পনা’, ‘ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তুলেছেন। হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডার পাল্টা, যদি ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, পরিকল্পনা মাফিক হিংসা হয়ে থাকে, তা হলে রাজ্যের বিজেপি সরকার কী করছিল? কেন গোয়েন্দা তথ্য থাকা সত্ত্বেও পুলিশ হিংসা ঠেকাতে ব্যর্থ হল?
কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির রণনীতি মেরুকরণ। হরিয়ানা থেকে রাজস্থানে বিজেপি সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে নেই। তাই হরিয়ানার নুহ সংলগ্ন আলওয়ার, ভরতপুর এলাকায় মেরুকরণের চেষ্টা হচ্ছে।’’ হরিয়ানায় হিংসার পিছনে বজরং দলের নেতা, গোরক্ষক বাহিনীর সর্দার মনু মানেসরের উস্কানিমূলক বিবৃতিকে দায়ী করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মনুর বিরুদ্ধে রাজস্থানের দুই ব্যবসায়ীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু রাজস্থান পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলেও হরিয়ানার পুলিশ বাধা দিয়েছিল।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এখন বলেছেন, রাজস্থান পুলিশ মনুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমাদের পুলিশ যখন ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়েছিল, হরিয়ানা পুলিশ সহযোগিতা করেইনি, উল্টে রাজস্থান পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল।’’ হুডা বলেন, এই হিংসা প্রশাসনিক ব্যর্থতা। হরিয়ানার এই সব এলাকায় দেশ ভাগের সময়েও হিংসা হয়নি। খট্টর সরকার মাথা পিছু আয়, বিনিয়োগে প্রথম স্থানে থাকা হরিয়ানাকে বেকারত্বের মাপকাঠিতে শীর্ষে নিয়ে এসেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)