কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিংহ ভার্মা। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা। রাজ্যের প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী সজ্জন সিংহ ভার্মা বুধবার বলেছেন, ‘‘মেয়েরা যখন ১৫ বছর বয়সেই সন্তানের জন্ম দিতে পারে, তা হলে কিসের ভিত্তিতে তাদের বিবাহের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করা হবে?’’ তার পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি এই মন্তব্যের নিন্দা করে কংগ্রেস নেতাকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। অন্য দিকে, বিজেপি আসল বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বিয়ের বয়সের বিষয়টিকে ইস্যু বানাতে চাইছে বলে পাল্টা অভিযোগ কংগ্রেসের।
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে ‘নারী সম্মান’ নামের প্রচারমূলক কর্মসূচিতে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর কথা বলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহ্বাণ। মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা বলেছিলেন বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী। ভারতে বিয়ের বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ হলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা সজ্জন বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুসারে, ১৫ বছর বয়সেই মেয়েরা সন্তানধারণে সক্ষম। সে জন্য ১৮ বছরে কোনও মেয়েকে বিবাহযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। শিবরাজ সিংহ চৌহ্বাণ কি চিকিৎসক না বিজ্ঞানী? কিসের ভিত্তিতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ করা হবে?’’ নাবালিকাদের রক্ষায় বিজেপি সরকার ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘নাবালিকাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে এ রাজ্য প্রথম। আর মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা না নিয়ে ভণ্ডামি করে যাচ্ছেন।’’
#WATCH | According to doctors, a girl is ready for reproduction by the age of 15. Is the CM a doctor or a scientist? So, on what basis does girls' marriage age should be increased to 21 from 18: Congress leader Sajjan Singh Verma in Bhopal pic.twitter.com/sVF1UyeLra
— ANI (@ANI) January 13, 2021
কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্র রাহুল কোঠারি বলেছেন, ‘‘সজ্জন সিংহ ভার্মা শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, সারা দেশের মেয়েদের অপমান করেছেন। ভার্মা ভুলে গিয়েছেন তাঁর দলের সভাপতি সনিয়া গাঁধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা মহিলা, দু’জনই মহিলা। সজ্জনের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কংগ্রেস তাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিক।’’ জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন এই মন্তব্যের জন্য সজ্জনের কাছে দু’দিনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।
ক্ষতে প্রলেপ দিতে কংগ্রেস বলেছে, প্রাক্তন মন্ত্রী শুধুমাত্র জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দাবির পিছনে কোনও ‘যুক্তিগ্রাহ্য গবেষণা’ আছে কি না। সঙ্গে অভিযোগ, আসল সমস্যা এড়িয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের আকর্ষণ পাওয়ার জন্যই মেয়েদের বিয়ের বয়সের ব্যাপারটি নিয়ে বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy