‘‘হয়তো সময় লাগবে, তবে সত্যের দ্বারাই শেষ পর্যন্ত বিজেপি-আরএসএসের হার হবে’’, বিহারের বিধানসভা ভোটে হারের পরে নতুন করে হতাশ হয়ে পড়া কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আজ এই মন্ত্রেই রাহুল গান্ধী চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করলেন।এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটারদের নাম কেটে ও ভোটার তালিকায় কারচুপি করে ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ নিয়ে আজ কংগ্রেস রামলীলা ময়দানে ‘ভোট চোর, গদ্দি ছোড়’ জনসভা করে। সেখানে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, দু’জনেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিংহ সিন্ধু ও বিবেক জোশীর নাম দলের কর্মী-সমর্থকদের দু’বার করে বলিয়ে মুখস্ত করান।
দু’জনেই ‘হুঁশিয়ারি’ দেন, এই তিন নির্বাচন কমিশনারকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কথায় গণতন্ত্রে আঘাত করার জন্য ভবিষ্যতে মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। প্রিয়ঙ্কা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি এক বার ব্যালট পেপারে নিরপেক্ষ নির্বাচনে লড়ে দেখাক। কখনও জিততে পারবে না।’’রাহুল গান্ধী আজ আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাগবত বলেছেন, সত্য নয়, ক্ষমতাই আসল। কংগ্রেসের কাছে সত্যটাই আসল। এই সত্যের কাছেই বিজেপি-আরএসএসের হার হবে।’’ প্রিয়ঙ্কা অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, টাকার পতন, বিদেশনীতির ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে সংসদে বন্দে মাতরম্ নিয়ে আলোচনা করিয়েছে। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘মোদী সরকার তরুণদের জুয়ার অ্যাপে ব্যস্ত রাখছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক জন ব্যক্তি জুয়ার অ্যাপ চালাচ্ছেন।’’
কংগ্রেসের কর্মীদের মনোবল না হারানোর বার্তা দিয়ে আজ সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘আমার ছেলের আট ঘণ্টার অস্ত্রোপচার ছিল বেঙ্গালুরুতে। স্ত্রী, মেয়ে বারবার ফোন করলেও এই জনসভার জন্য দিল্লিতে থেকে গিয়েছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)