জনগণনার সঙ্গে জাতগণনার অর্থ শুধু কার কোন জাত, তা নিয়ে প্রশ্ন করা নয়। অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ শিক্ষা বা চাকরির ক্ষেত্রে বা সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের মাপকাঠিতে কোথায় রয়েছে, তা নিয়েও জনগণনার সময় প্রশ্ন করতে হবে বলে দাবিতুলল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি তুলেছেন, শুধু কোন জাতের মানুষের কত সংখ্যা, তা জানলে চলবে না। তাঁদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে হবে। তা হলেই সদর্থক নীতি নেওয়া যাবে। পাইলটের অভিযোগ, ‘‘মোদী সরকার দীর্ঘ দিন ধরে জাতগণনার দাবির বিরোধিতা করলেও এখন চাপের মুখে তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু এত দেরি করে জনগণনার সময়সীমা ঠিক হয়েছে, জনগণনার জন্য প্রয়োজনীয় ১০ হাজার কোটি টাকার বদলে মাত্র ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, তাতে মনে হচ্ছে, মোদী সরকার বাস্তবে জাতগণনার বদলে শুধু প্রচার চাইছে।’’ কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, রাহুল গান্ধীর চাপে কেন্দ্র জাতগণনাকে জনগণনায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছে। আসল উদ্দেশ্য হল বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতগণনা নিয়ে প্রশ্ন এড়ানো।
কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল, ৪ জুন ও ১৫ জুন সরকার যে বিবৃতি দিয়েছিল তাতে জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করা হবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল।’’ সুধাংশুর প্রশ্ন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে পাঁচ দশক ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। সে সময়ে কেন জাতগণনা হল না?” তেলঙ্গনা সরকার যে জাতগণনা করছে, তাঁকে মডেল করে কেন্দ্রের জাতগণনা করা উচিত বলে কংগ্রেসের দাবি। সুধাংশুর জবাব, ‘‘জণগণনা বা জাতগণনা করার প্রশাসনিক ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রের হাতে রয়েছে। রাজ্য শুধু সমীক্ষা করতে পারে। তেলঙ্গনা সরকারের রাজকোষের যা দশা, তাতে সমীক্ষা আদৌ হবে কি না তা নিয়েপ্রশ্ন রয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)