বিহার কংগ্রেসে ভাঙনের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ বেশ কয়েক জন বিধায়ককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। তবে রাহুলের দফতর থেকে আট-দশ জন বিধায়ককেই ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
তবে ডাক পাওয়া সত্ত্বেও ‘অসুস্থতার’ দোহাই দিয়ে দিল্লি যাননি কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা সদানন্দ সিংহ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘দল ভাঙার খবর গুজব। আমি এর আগে সভাপতি সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে দলের সমস্ত সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।’’ প্রকাশ্যে এ কথা বললেও সদানন্দ সিংহ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করছেন দলীয় বিধায়কদের একাংশ। সদানন্দ সিংহের ছেলে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত ঘোরাফেরা ও বৈঠক করছেন বলেও হাইকম্যান্ডের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এই অভিযোগকেও উড়িয়ে দিয়েছেন সদানন্দ।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে কিছু বিধায়ক রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। আগামিকাল ফের কয়েক জন কথা বলবেন রাহুলের সঙ্গে। পরিষদীয় দলে ভাঙনের খবর নিয়ে বিস্তারিত জানতেই ওই বিধায়ক ও বিধান পরিষদ সদস্যদের ডাকা হয়েছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।
প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহাজোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরে নীতীশ কুমার এখন কংগ্রেস ভাঙতে উদ্যোগী। আসলে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়লেও নীতীশ নিজের দল ভারী করতে এখন মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে নীতীশের দলীয় বিধায়কের সংখ্যা ৭১। বিজেপির ৫৩। বিজেপি প্রায় নীতীশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্য-রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারছে না বিজেপি ও নীতীশ শিবির। সে কারণে নিজের অঙ্ক নিজেই কষছেন নীতীশ। রাজ্যে কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিধায়ক নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে দল ভারী করতে পারলে পরবর্তী সময়ে একক ভাবে ম্যাজিক নম্বর, ১২২ বিধায়ক জোগাড় করতে লালুপ্রসাদের আরজেডির দিকে হাত বাড়াবেন নীতীশ। দলের বিধায়ক সংখ্যা বাড়াতে পারলে ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি করাটা নীতীশের পক্ষে সহজ হবে।