Advertisement
E-Paper

৪০ আসন বাড়তে পারে বিজেপির, সমীক্ষায় পেল কংগ্রেস

কংগ্রেসের এক শীর্ষ সূত্রের মতে, পুলওয়ামার ঘটনার আগে চোখ বন্ধ করে অনায়াসে বলা যেত, সামনের লোকসভা নির্বাচনে গত বারের থেকে ১০০-র বেশি আসন কমবে বিজেপির। কিন্তু সেনা হামলার পর মোদী যে ভাবে জাতীয়তাবাদের তাস খেলতে শুরু করেছেন, তাতে গড়পরতায় ৪০টির মতো আসন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, পুলওয়ামার আগে বিজেপি যদি ১৮০টির মতো আসন পেত, সেটি এখন ২২০-র কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:০৩
পাকিস্তানের মাটিতে বায়ুসেনার হামলার পর নরেন্দ্র মোদীর পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে।—ছবি পিটিআই।

পাকিস্তানের মাটিতে বায়ুসেনার হামলার পর নরেন্দ্র মোদীর পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে।—ছবি পিটিআই।

পাকিস্তানের মাটিতে বায়ুসেনার হামলার পর নরেন্দ্র মোদীর পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে। কংগ্রেসেরই অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে এল এই তথ্য।

কংগ্রেসের এক শীর্ষ সূত্রের মতে, পুলওয়ামার ঘটনার আগে চোখ বন্ধ করে অনায়াসে বলা যেত, সামনের লোকসভা নির্বাচনে গত বারের থেকে ১০০-র বেশি আসন কমবে বিজেপির। কিন্তু সেনা হামলার পর মোদী যে ভাবে জাতীয়তাবাদের তাস খেলতে শুরু করেছেন, তাতে গড়পরতায় ৪০টির মতো আসন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, পুলওয়ামার আগে বিজেপি যদি ১৮০টির মতো আসন পেত, সেটি এখন ২২০-র কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।

এই পরিস্থিতে মোড় ঘোরানোর দু’টি উপায় দেখতে পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। একটি অস্ত্র খোদ মোদীই দিয়ে ফেলেছেন। বায়ুসেনা হামলার পর চড়া সুরে জাতীয়তাবাদের তাস খেলতে গিয়ে। আর দ্বিতীয়টি হল, আগের মতো তেড়েফুঁড়ে রাফাল থেকে বেকারত্বের মতো বিষয়গুলিকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসা।

সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই রাহুল গাঁধী কংগ্রেসে একটি ব্যবস্থা চালু করেছেন। যার মাধ্যমে নিয়মিত সমীক্ষা করা হয়। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বায়ুসেনার অভিযানের পর সিংহভাগ লোক মোদী সরকারের কঠোর পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন। কিন্তু প্রায় দেড় লক্ষ লোকের মধ্যে করা সমীক্ষায় ৯০ শতাংশই এটিকে নিয়ে মোদীর রাজনীতিকে পছন্দ করছেন না একেবারেই।’’

আরও পড়ুন: মধ্যস্থতায় কেন রবিশঙ্কর, উঠছে প্রশ্ন

মোড় ঘোরানোর দ্বিতীয় উপায়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন রাহুল। অন্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথাও বলে নিয়েছেন এ ব্যাপারে। গত দু’দিন ধরে যেখানেই যাচ্ছেন, তেড়েফুঁড়ে বলছেন, বায়ুসেনা দেশের নিরাপত্তা সামলাচ্ছেন। আর সেই যুদ্ধবিমান বানানোর কাজই প্রধানমন্ত্রী আনকোরা অনিল অম্বানীকে দিয়েছেন। গরিব মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা তাঁর পকেটে তুলে দিয়েছেন। বেকারত্ব থেকে কৃষি সঙ্কট নিয়েও তোপ দাগছেন মোদীকে।

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই প্রার্থী বাছাইয়ের সময় নেতায়-নেতায় লড়াই সামনে চলে এসেছিল। তার পর থেকে লোকসভায় প্রার্থী স্থির করার জন্যও নিরন্তর সমীক্ষা করছেন কংগ্রেস সভাপতি। দলীয় সূত্রে খবর, রাহুল সম্প্রতি চারটি সমীক্ষা করেছেন। প্রিয়ঙ্কা বঢরাও নিজের মতো করে একটি সমীক্ষা করেন। পৃথক সমীক্ষা করেছেন দলের কোষাধ্যক্ষ আহমেদ পটেলও। এ ছাড়া, ৬০ লক্ষ দলীয় কর্মীকে জুড়েশক্তি অ্যাপের মাধ্যমেও সমীক্ষা করা হচ্ছে।

যার ফলে কোন কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা প্রয়োজন, কে বেশি জনপ্রিয়, তার একটি তালিকা ইতিমধ্যেই রাহুলের কাছে আছে। এর পরেও রাজ্যের দায়িত্বে থাকা নেতাদের থেকে প্রার্থীর নাম চাওয়া হচ্ছে। আগে ২-৩টি করে নাম চাওয়া হয়েছিল, এখন জোর দেওয়া হচ্ছে একটি নামের উপরেই। সমীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মিলিয়ে দেখা হবে সেই নাম।

যার ফলে নেতাদের উপরেও এখন চাপ বেড়েছে।

Congress BJP Survey Narendra Modi Indian Air Strike
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy