Advertisement
E-Paper

গাঁধী কার, লড়াইয়ে মোদী ও রাহুল

মোদী-বিরোধী অভিযানকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে আগামিকাল সকালে দিল্লির রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাহুল উড়ে যাবেন মহারাষ্ট্রের ওর্ধায়। সেখানে সেবাগ্রামে ‘বাপু-কুটিরে’ প্রার্থনা সভা হবে। তারপর হবে ওয়ার্কিং কমিটির বিশেষ বৈঠক। যেখানে সনিয়া, মনমোহন সিংহেরাও থাকবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩০

মোহনদাস কর্মচন্দ্র গাঁধী কার? রাহুল গাঁধীর না নরেন্দ্র মোদীর?

গত চার বছর ধরে কথায় কথায় গাঁধীর নজির মেলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল গাঁধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেও ধুমধাম দিল্লিতে। কিন্তু মোদীর হাত থেকে গাঁধীকে কেড়ে নিতে এ বারে সক্রিয় হলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর দলের সাফ কথা, আগাগোড়া ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকদের কায়দায় দেশ চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি গাঁধীর অনুগামী হন কী করে? গাঁধীর অনুগামী কংগ্রেসই ছিল, আছে, থাকবে। ব্রিটিশকে ‘ভারত ছাড়তে’ বাধ্য করেছিলেন গাঁধী। এ বারে মোদীর গদি ছাড়ার পালা।

মোদী-বিরোধী অভিযানকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে আগামিকাল সকালে দিল্লির রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাহুল উড়ে যাবেন মহারাষ্ট্রের ওর্ধায়। সেখানে সেবাগ্রামে ‘বাপু-কুটিরে’ প্রার্থনা সভা হবে। তারপর হবে ওয়ার্কিং কমিটির বিশেষ বৈঠক। যেখানে সনিয়া, মনমোহন সিংহেরাও থাকবেন। তারপরে রোড-শো করে ‘সঙ্কল্প-সভা’ করবেন কংগ্রেস সভাপতি। ছাড়ছেন না মোদীও। সকালে রাজঘাট। পরে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মতিথি পালনে বিজয়ঘাট। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘মহাত্মা গাঁধী আন্তর্জাতিক নিকাশি সম্মেলন’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন তিনিও। স্বচ্ছ ভারত পুরস্কার দেবেন। তারপর রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে নিয়ে যাবেন বিজ্ঞান ভবনে অপ্রচলিত শক্তি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে।

আরও পড়ুন: ভীমা-তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

কিন্তু গাঁধী নিয়ে মোদীর মাতামাতিকে ভেস্তে দিতে রাহুলের দলের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ দাবি করেন, ব্রিটিশেরা যেমন ভারতের সম্পদ লুঠ করে বিদেশে পালাত, বিজেপিও তাই করে। নীরব মোদীরা লুঠ করে পালাতে পারেন। ব্রিটিশরা বহুত্ববাদকে দমিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করত, বিজেপিও মেরুকরণের বীজ বুনে শকুনির মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। ব্রিটিশরা কালো আইন বানিয়ে নাগরিকের উপরে বোঝা বাড়াত, মোদী নোটবন্দি-জিএসটি করেন। পেটোয়া পুলিশ আর গোয়েন্দাদের দিয়ে বিরোধী, বিরুদ্ধ মত দমন করত ব্রিটিশরা, এখনও তাই। ব্রিটিশ শাসকেরা সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষকে গোলাম বানিয়েছিল। মোদী সরকারও তফসিলি জাতি-জনজাতি, সংখ্যালঘু, মহিলাদের নিপীড়ন করে।

বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘‘শিবভক্ত রাহুলের দল ইলাহাবাদে তিন কংগ্রেস কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। অপরাধ, তাঁরা ‘হর হর মহাদেব’ বলছিলেন।’’

Mohandas Karamchand Gandhi Mahatma Gandhi Gandhi Jayanti BJP Congress Rahul Gandhi Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy