গোয়া, ত্রিপুরায় তৃণমূলের লড়তে যাওয়ার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান যুক্তি ছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ঠিক মতো লড়াই করতে পারছে না।
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসের এখন আর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি নেই। কংগ্রেসের অন্দরেও দাবি উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেসকে আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব মেনে নিতে হবে। প্রশান্ত কিশোরও কংগ্রেসকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন।
রবিবার তৃণমূল, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দলকে পাল্টা নিশানা করে রাহুল গান্ধী বললেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলি লড়াই করতে পারবে না।
উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসই নেতৃত্ব দেবে বুঝিয়ে রাহুল বলেছেন, “এটা বিজেপি-আরএসএসের মতাদর্শের সঙ্গে কংগ্রেসের মতাদর্শের লড়াই। আঞ্চলিক দলগুলির নিজস্ব পরিসর রয়েছে। কিন্তু তারা বিজেপিকে হারাতে পারবে না। কারণ তাদের কোনও মতাদর্শই নেই।”
রাহুলের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এগুলো রাহুল গান্ধী তাঁর দলের হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য বলছেন। এর মধ্যে কোনও বাস্তবতা বা সত্য নেই। কংগ্রেস তার মতাদর্শ দেখাতে একের পর এক রাজ্যে হারছে। সব রাজ্য তাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। পড়ে আছে শুধু রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়। সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি, বিভিন্ন রাজ্যে এগোনোর। রাহুলের এই কথাকে আমরা কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না।’’
বিজেপির ‘বিভাজনের নীতি’-র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের মতাদর্শকে সামনে রেখে দেশের আমজনতার সঙ্গে নতুন করে জনসংযোগ গড়ে তুলতেই আজ সনিয়া গান্ধী কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ‘ভারত ছোড়ো যাত্রা’-র ঘোষণা করেছেন। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। আঞ্চলিক দলকে নিশানা করলেও তাদের সমালোচনাগুলিকে মেনে নিয়ে রাহুল বলেছেন, মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের যে সংযোগ ছিল, তা ভেঙে গিয়েছে, এটা মেনে নিতে হবে। মাসের পর মাস ধরে, মানুষের মধ্যে থেকে আবার সেই জনসংযোগ তৈরি করতে হবে। তাঁর মন্তব্য, “এটাই রাস্তা। শর্ট-কাট করে হবে না। ঘাম ঝরিয়েই এই কাজ করা হবে।”