Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশি ডিগ্রি নিয়ে স্মৃতির দাবিতে বিতর্ক

তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ওঠা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব স্মৃতিকে দেওয়ার পর থেকেই জোরালো বিতর্ক ওঠে। বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পর্যন্তও নয়, কী ভাবে তিনি এত বড় দেশে, এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন? সেই বিতর্কে এখন নতুন মোড়। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে জনৈক প্রশ্নকর্তা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যখন আমাকে কেউ ‘অশিক্ষিত’ বলে কটূক্তি করে, তখন আমি খুবই দুঃখ পাই। অথচ আমার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। আমি সেটা বের করে দেখাতে পারি।” এই সঙ্গেই তাঁর ক্ষোভ, “এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে আমি আমার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে যাই।”

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩২
Share: Save:

তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ওঠা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব স্মৃতিকে দেওয়ার পর থেকেই জোরালো বিতর্ক ওঠে। বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পর্যন্তও নয়, কী ভাবে তিনি এত বড় দেশে, এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন? সেই বিতর্কে এখন নতুন মোড়। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে জনৈক প্রশ্নকর্তা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যখন আমাকে কেউ ‘অশিক্ষিত’ বলে কটূক্তি করে, তখন আমি খুবই দুঃখ পাই। অথচ আমার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। আমি সেটা বের করে দেখাতে পারি।” এই সঙ্গেই তাঁর ক্ষোভ, “এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে আমি আমার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে যাই।”

স্মৃতি জানাননি, কোন বিষয়ে পড়াশুনা করে তিনি আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন। তবে গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় দিনের স্বল্প সময়ের একটি পাঠ্যক্রমে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য কয়েকটি দলের সাংসদরাও। সেখানে অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে ছিল ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তান পরিস্থিতির মতো প্রসঙ্গ।

দিল্লির অনুষ্ঠানে স্মৃতির বক্তব্য শোনার পরেও প্রশ্নকর্তা যখন শিক্ষাগত যোগ্যতার গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীকে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন, রেগে যান স্মৃতি। মেজাজ হারিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন, “আমার নামে জনস্বার্থ মামলা করুন। আপনার সব প্রশ্নের জবাব আদালতেই দেব। একবারেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

কিন্তু পরে স্মৃতির মন্ত্রকেরই এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মন্ত্রীর কাছে ইয়েলের ওই স্বল্প সময়ের পাঠ্যক্রমের একটি ‘সার্টিফিকেট’ রয়েছে।

মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে নিজের যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানিয়েছেন স্মৃতি, তাতে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে কোনও কথা নেই। ফলে মন্ত্রীর বক্তব্য বিতর্ক আরও উস্কে দিতে পারে। এর আগে, ২০০৪ ও ২০১৪ সালে ভোটের হলফনামায় স্মৃতি ইরানি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ‘পরস্পরবিরোধী’ তথ্য দিয়েছেন বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের তোলা প্রশ্নের জবাবে বিজেপির বক্তব্য, মন্ত্রীর কাজ দেখেই তাঁকে বিচার করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE