বড়দিনের আগেই খুলে গেল দার্জিলিঙের ঐতিহ্যবাহী রেস্তরাঁ গ্লেনারি’জ়-এর পানাশালা। একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠা়য় গত ৯ নভেম্বর ওই পানশালায় তিন মাসের জন্য তালা ঝুলিয়েছিল রাজ্যের আবগারি দফতর। কিন্তু আবগারি দফতরের ওই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ। রাজ্য এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে গেলে মামলা খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।
আবগারি দফতর পানাশালা বন্ধ করে দেওয়ার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অজয়। বুধবার বিচারপতি সিংহের একক বেঞ্চ আবগারি দফতরের সিদ্ধান্তে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়। আগামী ৫ জানুয়ারি হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
একক বেঞ্চ আবগারি দফতরের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিতেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেখানে রাজ্যের মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এর ফলে আপাতত পানশালা খুলতে আর কোনও আইনি বাধা রইল না গ্লেনারি’জ় কর্তৃপক্ষের। এই বিষয়ে গ্লেনারি’জ়-এর আইনজীবী ঈশা ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ আবগারি দফতরের পানশালা বন্ধের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত পানশালা খোলা থাকবে। ৫ জানুয়ারি কোর্ট খোলার পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।”
আবগারি দফতরের পানশালা বন্ধের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকেই ‘রাজনীতি’ খুঁজে পেয়েছিলেন। গ্লেনারি’জ’-এর মালিক অজয় ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্ট-এর প্রধান। সম্প্রতি বিজনবাড়ি ব্লকের জোড়বাংলোয় টুংসুং চা-বাগানের কাছে টুংসুং খোলা (নদী)-র উপরে একটি সেতু তৈরি হয়। নভেম্বরে সেই সেতুর উদ্বোধন করেন অজয়। তার সামনে লেখা ছিল ‘গোর্খাল্যান্ড’। তার পরেই পানশালার দরজায় তালা ঝোলানো নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়। যদিও অজয়দের অভিযোগ উড়িয়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-র তরফে বলা হয়, পানশালা সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে অজয়কে আগেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল।