কাশ্মীর উপনির্বাচনে কর্তব্যরত জওয়ানদের হেনস্থা নিয়ে বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি। নামীদামি ব্যক্তিত্বরাও ঘটনাটির নিন্দায় মুখর হয়েছেন। তার মধ্যেই প্রকাশ পেল ওই দিনের আর একটি ভিডিও। তাতে আবার দেখা যাচ্ছে, সেনা জিপের সামনে দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে এক যুবক। যেটা দেখে আপাত ভাবে মনে হচ্ছে, উন্মত্ত জনতা যাতে জিপে পাথর ছুড়তে না পারে, তাই ওই যুবককেই জীবন্ত ঢাল বানিয়ে ব্যবহার করেছে সেনা। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরে নতুন তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: তালিবানি বিপদ বোঝাচ্ছে দিল্লি
যুবকের নাম ফারুক দার। বাদগামের সিতাহরন গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাজ্য প্রশাসন তদন্তে নেমে জেনেছে, ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর জওয়ানরাই এ ঘটনায় জড়িত। তদন্তকারীদের ফারুক জানিয়েছেন, তিনি ভোট দিতে বেরিয়েছিলেন। তার পরে বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে জওয়ানেরা তাঁকে পাকড়াও করে। সেনা ইউনিটটি নির্বাচন কর্মীদের সঙ্গে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ফারুকের দাবি, তাঁকে জিপে বেঁধে প্রায় ১০-১২টি গ্রামে ঘোরানো হয়েছে। আবার সেনা সূত্রের দাবি, ১০০ মিটার পরেই ফারুককে ছেড়ে দেওয়া হয়
এই সেই ভিডিও
দূরত্ব যাই হোক না কেন, এমন অমানবিক কাজ সেনাবাহিনী কী করে করল, সেই প্রশ্নেই ফের ক্রুদ্ধ কাশ্মীর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানেন না। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘পাথর থেকে বাঁচতে বাহিনী একটি মানুষকে ঢাল বানাল কী করে? আমি হতবাক!’’ ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবিও করেছেন তিনি। ভিডিওটি বিরওয়াহ অঞ্চলের বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি ওমরের নির্বাচনী কেন্দ্রেই পড়ে। ওমর সখেদে এও বলেছেন, ‘‘জওয়ানদের হেনস্থা নিয়ে দেশ জুড়ে যে পরিমাণ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, জিপে-বাঁধা যুবককে নিয়ে কিন্তু সেটা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy