মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় গত কাল মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ সব অভিযুক্ত। এ বার সেই মামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস-দমন শাখার (এটিএস) প্রাক্তন ইনস্পেক্টর মেহবুব মুজাওয়ার। তাঁর দাবি, আরএসএস প্রধান মোহনভাগবতকে ওই মামলায় গ্রেফতার করতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ‘গৈরিক সন্ত্রাস’-এর কথা প্রমাণ করতেই এমন নির্দেশ দেওয়াহয়েছিল বলে দাবি ওই প্রাক্তন অফিসারের।
মালেগাঁও-সহ কয়েকটি জঙ্গি হামলায় ‘গৈরিক সন্ত্রাসবাদীরা’ জড়িত বলে দাবি করেছিল কংগ্রেসের একাংশ। কিন্তু মালেগাঁও-রায় এই দাবির জবাবে বিজেপির হাতে বড় অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এ বার মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন অফিসারের দাবি বিজেপির হাত আরও শক্ত করবে বলে ধারণা রাজনীতিকদের। আরএসএস প্রধানকে কারা এই মামলায় জড়াতে চেয়েছিল, তা জানতে চেয়ে বিজেপি আসরে নামবে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রথমে মালেগাঁও-বিস্ফোরণের তদন্ত এটিএস করলেও পরে তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। কেন্দ্রে ও মহারাষ্ট্রে তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার।
মেহবুবের দাবি, এটিএসকে নির্দেশ মেনে ‘ভুয়ো মামলা’ সাজাতে হয়েছিল। আদালতের রায়ে সেই ‘অসত্য’ই খারিজ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এক ভুয়ো অফিসারের নেতৃত্বে হওয়া ভুয়ো তদন্ত খারিজ হয়েছে।’’
মেহবুবের দাবি, তিনি মালেগাঁওয়ের তদন্তকারী এটিএস দলের সদস্য ছিলেন। তাঁর মতে, এটিএস, কী তদন্ত করেছিল তা বলা তাঁর পক্ষে কঠিন। কিন্তু তাঁকে গোপন নির্দেশে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করতে বলা হয়। তাঁর দাবি, সেই নির্দেশ মানা সম্ভব ছিল না।
মেহবুবের দাবি, তাঁর পক্ষে ভাগবতের মতো ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার করা সম্ভব ছিল না। নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করে ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষ করে দেওয়া হয়।
মেহবুবের দাবি, ‘‘আমি যা বলছি তা প্রমাণ করতে পারি। গৈরিক সন্ত্রাস বলে কিছু নেই। পুরোটাই ভুয়ো।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)