পুজোর আগে শুক্রবার থেকেই ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা ভলভো বাস চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। কিন্তু তার আগে ফের বাগড়া। পরিস্থিতি এমন যে, বাস চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি ফের খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। এর আগে ঢাকা ও আগরতলার মধ্যে ত্রিপুরা সরকারের যে ভলভো বাসটি চলতো, বাংলাদেশে কিছু দুষ্কৃতী বছর দুয়েক আগে সেটিকে পুড়িয়ে দেয়। তার পর থেকেই এই ‘মৈত্রী’ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কলকাতা ও আগরতলার মধ্যে বাস যোগাযোগের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সেই সময়ে প্রতীকী ভাবে দু’টি বাসও চালানো হয়। তার পর তা নিয়মিত চালানোর আগে কিছু কাগজপত্র সইসাবুদ করাতে ত্রিপুরা পরিবহণ দফতরের এক কর্মী এল জে রুকুম সোমবার ঢাকায় যান। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি দফতর থেকে কাজ সেরে বেরোতেই তিনি আক্রান্ত হন। দুষ্কৃতীরা তাঁর কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে চলে যায়। তাঁকে মারধর করে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
দিশেহারা এই কর্মী তখনই আগরতলায় পরিবহণসচিব সমরজিত্ ভৌমিককে ফোনে সব কথা জানান। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মানিক দে জানান, পরিবহণসচিব ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনকে ঘটনার কথা জানান। তাদের উদ্যোগে বাংলাদেশের পরিবহণ মন্ত্রক ওই অফিসারকে ফের নতুন নথিপত্র তৈরি করে দেয়। ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ।
একটি অসাধু চক্র আগরতলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি বাস চলাচলের বিরোধী। সূত্রের খবর, ব্যবসায়িক স্বার্থ বা রাজনৈতিক কারণই হয়তো এই বিরোধিতার কারণ। এর আগে দুই শহরের মধ্যে চলাচল করা ত্রিপুরা সরকারের ভলভো বাসটি দুষ্কৃতীরা আগুন দেওয়ার পরে মনে করা হচ্ছে— আগরতলা-কলকাতা বাসকেও এ ভাবে হুমকি দেওয়া হল।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, রুকুম ঢাকা-আগরতলা বাসের লিযাজঁ অফিসার ছিলেন। আগরতলা-কলকাতা বাসেও তাঁর সে দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু সোমবার আক্রান্ত হওয়ার পরে তিনি এতটাই আতঙ্কিত, রাতটুকুও ঢাকায় কাটাতে সাহস করেননি তিনি। সন্ধ্যাবেলাতেই তিনি আখাউড়া চলে আসেন। এ দিন ভোরে সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় আসেন।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা বাস পরিষেবা কী ভাবে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এই বাস কতটা নিরাপদে চলতে পারবে, তা নিয়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী অবশ্য জানান, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার সব রকম বন্দোবস্তও করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy