Advertisement
১০ মে ২০২৪

পরিচ্ছন্ন কোচবিহার দেশের সেরা ১২-র তালিকায়

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, পরিচ্ছন্ন জেলার তালিকায় কোচবিহার রয়েছে বারো নম্বরে। ওই তালিকায় এক নম্বরে গাজিয়াবাদ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৬
Share: Save:

জেলাকে নির্মল করার অভিযান শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। নির্মল জেলার শিরোপাও পেয়েছে জেলা। এ বারে দেশের বারোটি জেলার একটি হল কোচবিহার।

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, পরিচ্ছন্ন জেলার তালিকায় কোচবিহার রয়েছে বারো নম্বরে। ওই তালিকায় এক নম্বরে গাজিয়াবাদ। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া বইছে জেলায়। সেই সঙ্গে অবশ্য দাবি উঠেছে, এই পরিবেশ যাতে কোনও ভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “কেন্দ্রের ওই তালিকায় দেশের মধ্যে কোচবিহার বারো নম্বরে রয়েছে এই তথ্য আমরা পেয়েছি। জেলায় যাতে ওই প্রকল্পে আরও ভাল কাজ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পের উপরেই ওই ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা নিয়ে সমীক্ষার পরেই তা ক্রম অনুযায়ী ঘোষণা করা হয়। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যানুয়াল রুরাল স্যানিটেশন সার্ভের (নার্স) একটি দল দিল্লি থেকে সব জেলায় ঘুরে সমীক্ষা করেন। সব জায়গায় ছবি তুলে নেন। বাসিন্দাদের কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথাও শুনে নেন। তার উপরে ভিত্তি করেও জেলাকে নম্বর দেওয়া হয়।

ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কোচবিহার জেলা প্রশাসনের আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “ওই তথ্য জানার পর থেকেই খুব খুশি হয়েছি। সবাই মিলেই জেলা নির্মল করতে পথে নামা হয়। তা আমরা সাফল্যের সঙ্গেই করতে পেরেছি। আগামীতেও ওই প্রচেষ্টা জারি থাকবে।”

চার-পাঁচ বছর আগেও কোচবিহারে যেখানে-সেখানে মলমূত্র পড়ে থাকতে দেখা যেত। এমনকি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িতে কোনও শৌচাগার ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে শৌচাগার তৈরিতে নেমে সফল হয় জেলা। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বটেই, মন্ত্রী-বিধায়করাও ভোরবেলা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে শৌচাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। সেই সঙ্গে স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে গ্রামের মহিলাদেরও পথে নামানো হয়। কোথাও বাঁশি বাজিয়ে খোলা মাঠে শৌচকর্ম না করতে সতর্ক করা হয়েছে। কোথাও আবার গোলাপ ফুল হাতে ধরিয়ে শপথ নিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য ছিল ৩ লক্ষ ২৮ হাজার শৌচাগার তৈরি করা। সেখানে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু শৌচাগার তৈরি করে দিয়েই ওই প্রকল্পের কাজ শেষ নয়, বাসিন্দারা যাতে তা ব্যবহার করেন সে বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করাও দায়িত্ব ছিল। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “গ্রামে কিছু মানুষ রয়েছে যাদের বাইরে শৌচকর্ম করা অভ্যেস। বাড়িতে শৌচাগার থাকলেও সেখানে যেতে চান না। সেটাই আমরা করতে পেরেছি। তা ধরে রাখাই আগামীদের প্রধান কাজ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar District কোচবিহার
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE