Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Balasore Train accident

তাঁরা ‘নিখোঁজ’ বলে তাঁদের ফোন থেকেই বাড়িতে জানানো হয়, করমণ্ডলের সেই দুই যাত্রী বাড়ি ফিরলেন

বাড়ি ফিরে হাফিজুল রহমান জানান, ট্রেনের চার্জার পয়েন্টে একটি মোবাইল লাগিয়ে রেখেছিলেন৷ আর একটি ছিল ব্যাগে৷ ব্যাগে ২০ হাজার টাকাও ছিল৷

ঠিক কী কারণে করমণ্ডল এক্সপ্রেস এমন ভয়াল দুর্ঘটনার মুখে পড়ল? —ফাইল চিত্র।

ঠিক কী কারণে করমণ্ডল এক্সপ্রেস এমন ভয়াল দুর্ঘটনার মুখে পড়ল? —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ০৯:৩৫
Share: Save:

শনিবার সারাদিনের উৎকণ্ঠা রবিবার ভোরেই উচ্ছ্বাসের চেহারা নিল৷ করমণ্ডল দুর্ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে নিখোঁজ অসমের দুই যুবক বাড়ি ফিরে এসেছেন৷

ওড়িশার রেল পুলিশ তাঁদের মোবাইল খুঁজে পেয়ে বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর জানিয়েছিল৷ এর পরেই শুরু হয় কান্নাকাটি৷ টিভি খুলে পরিবারের সদস্যরা দেখছিলেন লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, বুঝে উঠতে পারছিলেন না৷ রবিবার সকালে ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁওয়ের বাড়িতে হাজির হলেন হাফিজুল রহমান ও শামু আলি৷ মুহূর্তে বাড়ির দৃশ্য বদলে গেল৷

কিন্তু দুশ্চিন্তা কাটেনি রূপক দাসের পরিবারে৷ তিনিও ওই ট্রেনে ফিরছিলেন৷ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে এখন ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ রাজ্য সরকার অবশ্য তাঁর চিকিৎসার তদারকি এবং পরে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে দু’জন অফিসারকে বালেশ্বরে পাঠিয়েছে৷ স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত অধিকর্তা বণবীর বরা ও তনভির আলম সরকারি নির্দেশে এ দিনই গুয়াহাটি থেকে বিমানে রওনা হন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত রূপকের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা তাঁরা করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন৷

বাড়ি ফিরে হাফিজুল রহমান জানান, ট্রেনের চার্জার পয়েন্টে একটি মোবাইল লাগিয়ে রেখেছিলেন৷ আর একটি ছিল ব্যাগে৷ ব্যাগে ২০ হাজার টাকাও ছিল৷ কিন্তু দুর্ঘটনার পর ব্যাগটি খুঁজে পাননি৷ পকেটে এক হাজার টাকা ছিল বলে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পেরেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রবল ঝাঁকুনিতে আমাদের কামরাটি ছিটকে পড়ে৷ চার দিকে কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি৷ আমি ও শামু জানালা দিয়ে কোনওক্রমে বেরিয়ে যাই৷ কয়েক জনকে উদ্ধারও করি৷’’ হাফিজুল জানান, পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ ছিল যে, তাঁরা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন৷ পরে অন্যদের সহায়তায় বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বাসে চড়ে হাওড়ায় চলে আসেন৷ সেখান থেকে রেলে বাড়ি ফেরেন৷

হাফিজুলের অনুমান, রেল পুলিশ ব্যাগটি খুঁজে পেয়ে মোবাইল বার করে বাড়িতে ফোন করেছে৷ এখন অবশ্য হারানো ব্যাগ বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই৷ মা-বাবার কথায়, ‘‘ছেলেটাকে ফিরে পেয়েছি, আর কিছু চাই না৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE