Advertisement
E-Paper

করোনা ভয়, দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা সিল করল হরিয়ানা, বিক্ষোভ পরিযায়ীদের

এই হাইওয়ে ব্যবহার করেই দিল্লি থেকে হরিয়ানা বা হরিয়ানা থেকে দিল্লি প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ১৩:৪৭
দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা সিল করে দেওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা সিল করে দেওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: পিটিআই।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা সিল করে দিল হরিয়ানা সরকার। শুক্রবার সকালে তার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় দিল্লি-গুরুগ্রাম হাইওয়েতে। এই হাইওয়ে ব্যবহার করেই দিল্লি থেকে হরিয়ানা বা হরিয়ানা থেকে দিল্লি প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু এ দিন সকালে সীমানা সিল করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন পথচারীরা। কয়েক হাজার গাড়ি লম্বা লাইন পড়ে যায় হাইওয়েতে।

সড়কপথে দিল্লি থেকে হরিয়ানা ঢোকার জন্য এটাই মূল পথ। কিন্তু হরিয়ানা সরকারের দাবি, দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় তাঁদের রাজ্যেও সেই প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে দিল্লি থেকে সড়কপথে লোকেরা হরিয়ানায় ঢুকছে। আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে হরিয়ানা সরকার।

এ দিন সকালে কয়েকশো মানুষ সাইকেলে চেপে দিল্লি থেকে এই সীমানা দিয়ে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, পুলিশ এই শ্রমিকদের দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানায় পথ আটকে দেয়। শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, পাশ দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই। কিন্তু তাঁদের কেন আটকে দেওয়া হল এই প্রশ্ন তুলে পথ আটকে প্রতিবাদ শুরু করেন শ্রমিকরা। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। থমকে যায় দুই রাজ্যের সীমানা এলাকা।

আরও পড়ুন: ‘আমরা কি পশু?’, যোগী-রাজ্যের কোভিড হাসপাতালে ক্ষুব্ধ রোগীরা

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৬৬, আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত উঠে এল ন’নম্বরে

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। শেষমেশ পুরো সীমানাই সিল করে দেয় পুলিশ। গাড়ি চলাচলও আটকে দেওয়া হয়। তবে জরুরি পরিষেবার জন্য পথ খোলা রাখা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।

বৃহস্পতিবারই হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বিজ জানান, দিল্লির সীমানা লাগোয়া হরিয়ানার জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর জন্য দিল্লি থেকে আসা লোকজনকেই দায়ী করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হরিয়ানায় করোনা সংক্রমণের একটা বড় কারণ হল দিল্লি থেকে এ রাজ্যে সীমানা দিয়ে প্রচুর মানুষ ঢুকছে।” তিনি একটি পরিসংখ্যানও দেন। বলেন, “গত এক সপ্তাহে ফরিদাবাদে ৯৮ জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে। ঝাঁঝরে ছজন, সোনিপতে ২৭ এবং গুরুগ্রামে ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।” এমন পরিস্থিতে দিল্লি থেকে লোক ঢোকায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী হরিয়ানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। সেখানে দিল্লিতে সংক্রমণ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩১৬ জনের।

Delhi Gurugram Coronavirus দিল্লি গুরুগ্রাম হরিয়ানা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy