শনিবার থেকে শুরু হতে চলা প্রথম দফার গণ-টিকাকরণের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে রাজ্যে-রাজ্যে প্রতিষেধক পাঠানো শুরু করল কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আজ বিকেল পর্যন্ত ৫৪.৭২ লক্ষ ডোজ় নানা শহরে পাঠানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে গোটা দেশে প্রতিষেধক পাঠানোর কাজ সেরে ফেলতে চায় কেন্দ্র।
গণ-টিকাকরণের প্রথম দফার প্রথম পর্বে প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তবে আগামী শনিবার ওই এক কোটির মধ্যে কত জন প্রতিষেধক পাবেন, তা স্পষ্ট নয়। এসবিআই সংস্থার করা একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ফি-দিন প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া কেন্দ্রের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাল বলেছিলেন, কোনও রাজনীতিক যেন সময়ের আগেই প্রতিষেধক নিতে না-দৌড়ন। কিন্তু আজ টুইটারে ‘পহেলাটিকামোদীকো’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। টুইটার ব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে প্রতিষেধকের গুণমান যাচাই হোক। রাশিয়া বা আমেরিকায় রাষ্ট্রনেতারা প্রথমে প্রতিষেধক নিয়েছেন।
গণ-টিকাকরণের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড (প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে যা এ দেশে উৎপাদন করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট) এবং হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধককে বেছেছে কেন্দ্র। আজ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিষেধক রওনা হওয়ার পরে সিরাম-কর্তা আদার পুনাওয়ালা টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি আবেগরুদ্ধ। সরকার এখনও পর্যন্ত ১.১ কোটি কোভিশিল্ড ও ৫৫ লক্ষ কোভ্যাক্সিন সংগ্রহ করেছে। অধিকাংশ রাজ্যে যে কোনও একটি প্রতিষেধক পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও, কিছু রাজ্যে দু’টিই যেতে পারে।