ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির কারণে সংসদকে কার্যত দুর্গ বানিয়ে সমস্ত নিয়মকানুন বদলে ফেলে বাদল অধিবেশন চালানো হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আটকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ এবং আতঙ্ক। গত কয়েক দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবং প্রহ্লাদ সিংহ পটেলের করোনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ এসেছে। গত কাল রাতে বিজেপি-র নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধের করোনা পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে তিনিও পজ়িটিভ। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখন রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন অথবা সেন্ট্রাল হলে বসে গল্পগুজব করেছেন, তখনই তিনি করোনায় সংক্রমিত। অন্তত জনা বিশেক সাংসদ তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সেখানে।
এই ত্রাসের আবহে বিরোধী সংসদীয় দলনেতারা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে দেখা করে রবিবারের মধ্যে অধিবেশন মুলতুবির আবেদন জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, তাতে এখনও রাজি নয় সরকার। তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, এনসিপি-র প্রফুল্ল পটেল, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা এক সঙ্গেই আজ দেখা করেছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে। পরে ডেরেক বলেন, ‘‘কেন সরকার সবার প্রাণ বিপন্ন করছে? যে অধ্যাদেশগুলি পাশ করানো বাকি রয়েছে, সেগুলি রবিবারের মধ্যে পাশ করিয়ে সংসদ অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হোক। কৃষি এবং সমবায় ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত চারটি বিতর্কিত অধ্যাদেশ, যাতে বিরোধীদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলি যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন তাঁরা সংসদ অধিবেশন বন্ধ করবেন না।’’ বিরোধী পক্ষের থেকে এ কথাও বলা হয়েছে যে তাঁরা প্রয়োজনে জিএসটি, মূল্যবৃদ্ধি অথবা বেকারত্ব ও অর্থনীতি নিয়ে নির্ধারিত আলোচনা বন্ধ রাখতে রাজি। এগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়, কিন্তু করোনা যখন সংসদে ঢুকে পড়েছে, তখন ঝুঁকি নেওয়ার কোনও কারণ তাঁরা দেখছেন না।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও চলতি পরিস্থিতিতে অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রহ্লাদ জোশী বিরোধী নেতাদের জানিয়েছেন যে অধিবেশন চলবে। মানুষের যদি তাতে খারাপ লাগে, তবে তাঁরা পরের বার না হয় ক্ষমতাসীন দলকে ভোট দেবেন না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy