Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in India

লড়াই জোরদার হবে, ভ্যাকসিন নিয়ে শপথ নার্সের

হিমন্ত জানান, আগামী তিন মাসে অসমে তিন লক্ষ মানুষ প্রতিষেধক পাবেন। প্রত্যেককে ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। 

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও আগরতলা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৫৭
Share: Save:

দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আজ অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল ও মিজোরামে কোভিড প্রতিষেধক দেওয়ার অভিযান শুরু হল।

অসমে সাতটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ২৪টি জেলা হাসপাতাল মিলিয়ে ৩৩টি জেলার মোট ৬৫টি স্থানে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে শনিবার। ডিব্রুগড়ে অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ সঞ্জীব কাকতি প্রথম প্রতিষেধক নেন। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপস্থিতিতে প্রতিষেধক পাওয়া প্রথম তিন চিকিৎসক হলেন উমেশচন্দ্র শর্মা, ধ্রুবজ্যোতি বরা ও ইলিয়াস আসি। হিমন্ত জানান, আগামী তিন মাসে অসমে তিন লক্ষ মানুষ প্রতিষেধক পাবেন। প্রত্যেককে ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে।

যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথম প্রতিষেধক নেওয়া চিকিৎসক দীপক শর্মা প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কায় থাকা সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। কারও কিছু হয়নি। গুজবে কান দিলে চলবে না।” নগাঁও জেলায় প্রথম প্রতিষেধক নেওয়া এএনএম নার্স লাবণ্য দেবী বলেন, “আজ থেকে আরও জোরদার ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে পারব।” বরাকে আজ মোট ২৮৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নিলেন৷

ত্রিপুরায় এ দিন ১৭টি কেন্দ্রে ১৩৯৯ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আগরতলা টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভিডিয়ো কনফারেন্সে সমস্ত কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ত্রিপুরায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা সিদ্ধার্থ শিব জায়সওয়াল জানিয়েছেন রাজ্যে এ পর্যন্ত ৪৫,৪৩২ জন স্বাস্থ্যকর্মী সম্মতি জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫৫%-কে প্রথম ধাপে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।

এ দিন সকালে গাঁধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, চিকিৎসক মৃদুল দাসকে প্রথম ভ্যাকসিন দিয়ে এই অভিযানের সূচনা করা হয়। পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন। মৃদুলবাবু জানিয়েছেন, কোনও সমস্যা বোধ করছেন না, শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। স্টেট ইমিউনাজ়েশন অফিসার কল্লোল রায় জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন অভিযান ৭-৮ দিনে শেষ হবে।

অরুণাচলের নাহারলাগুনে টোমো রিবা ইনস্টিটিউট অব হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্স, মিজোরামের আইজল সিভিল হাসপাতালে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। মণিপুর ও মেঘালয়ে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে ১০টি কেন্দ্রে। প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হওয়ার পরে মণিপুর সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে স্কুল ও কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। মিজোরামেও দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ১০ মাস পরে মিজোরাম সরকার কোভিড-বিধি মেনে গির্জায় প্রার্থনা শুরু করার অনুমতি দিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE