ছবি: সংগৃহীত।
অসমে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি করোনা সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ একই শৌচালয় অনেকে ব্যবহার করা। বিশেষ করে আধাসেনার কোয়রান্টিন শিবিরগুলিতে এই ঘটনা বেশি হচ্ছে।
ডিব্রুগড়ের অসম মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক গায়ত্রী গগৈ ও ধেমাজির এসপি ড. ধনঞ্জয় ঘনওয়াতের নেতৃত্বে ও ডিব্রুগড়ের প্রস্তুতি ক্যানসার অ্যান্ড প্যালিয়েলেটিভ ট্রাস্টের সহায়তায় চালানো হয়েছিল সমীক্ষা। বাড়ি বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে থাকা প্রায় চল্লিশ হাজার ব্যক্তির উপরে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সমীক্ষা চালিয়েছেন তাঁরা। পরীক্ষা পর্বে স্বেচ্ছায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় রাজি হয়েছেন ওই ৪০ হাজার ব্যক্তি।
দেখা গিয়েছে, বাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে চার শতাংশ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলিতে ১৮ শতাংশ ব্যক্তি অন্যদের থেকে সংক্রামিত হয়েছেন। তাঁদের বিছানা ও সামাজিক দূরত্ব নিয়মমাফিকই ছিল। তাই সংক্রমণ বাড়ার প্রধান কারণ একই শৌচালয় ব্যবহার করা। শুধু অসম নয়, গোটা উত্তর-পূর্বেই নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গণ-সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি। বিশেষ করে নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, মিজোরামে মোট আক্রান্তের ৪০-৫০ শতাংশ, মেঘালয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। ত্রিপুরায় তিন শতাধিক, মণিপুরেও প্রায় সাড়ে পাঁচশো জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy