প্রতীকী চিত্র।
নতুন রেকর্ড গড়ে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা এক লক্ষের আরও কাছে পৌঁছে গেল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গত কাল থেকে সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৯৭,৮৯৪ জনের, মৃত্যু হয়েছে ১১৩২ জনের। সরকারি হিসেবে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা আজ ১০ লক্ষ পেরিয়েছে। এ দিকে, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আশা প্রকাশ করেছেন যে, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই করোনার প্রতিষেধক পেয়ে যাবে ভারত।
দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ৫১ লক্ষ পেরোলেও কেন্দ্রের বক্তব্য, সুস্থের সংখ্যাও আজ ৪০ লক্ষ পেরিয়েছে। অর্থাৎ, অ্যাক্টিভ রোগীর চেয়ে সুস্থের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২,৭১৯ জন কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন। ওই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ১১ লক্ষেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট পরীক্ষার সংখ্যা ৬ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। এক দিকে সুস্থতার হার বেড়ে ৭৮.৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে, অন্য দিকে মোট আক্রান্তের নিরিখে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার শতকরা হারও কমছে। এখন তা ১৯.৭৩ শতাংশ। ৪৮.৪৫ শতাংশ অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। আবার সদ্য সেরে-ওঠাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগ মহারাষ্ট্রেরই বাসিন্দা। তবে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ পেরিয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকেই ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। অবশ্য লকডাউন হচ্ছে না। আনলকের নির্দেশিকায় দেওয়া সমস্ত ছাড়ই বজায় থাকছে।
আরও পড়ুন: কৃষি-সংস্কারে আপত্তি, পদত্যাগ হরসিমরতের
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘অন্যান্য দেশের মতোই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী কাজ করছে। আমরা আশা রাখি, আগামী বছরের গোড়ায় প্রতিষেধক পেয়ে যাবে ভারত।’’ লকডাউনের ফলে ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ সংক্রমণ এড়ানো গিয়েছে বলে হর্ষ বর্ধনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা। তার উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ছ’টি বৈজ্ঞানিক সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতেই ওই কথা বলেছিলেন তিনি। আজ রাজ্যসভায় বিজেপিকে একহাত নেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। করোনা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করেছিলেন কয়েক জন সাংসদ। রাউত পাল্টা বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রচুর লোক সেরে উঠছেন। এত লোক কি ‘ভাবিজি পাঁপড়’ খেয়ে সুস্থ হয়ে গেলেন?’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল কিছু দিন আগে ‘ভাবিজি’ ব্র্যান্ডের পাঁপড়ের প্যাকেট হাতে নিয়ে দাবি করেছিলেন, সেটি খেলে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। পরে অবশ্য তিনি নিজেই কোভিডে আক্রান্ত হন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy